থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে : সেতুমন্ত্রী

আপডেট: October 27, 2021 |
print news

সাম্প্রদায়িক হামলার নেপথ্যে কারা জড়িত সেই ঘটনায় ‘থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘করোনাকালীন শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে হামলার বিষয়টি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়নে এই সাম্প্রদায়িক শক্তি বাধা তৈরি করছে। গত ১২ বছরে কোনো ঘটনা ঘটলো না কিন্তু এবার নির্বাচনে সামনে রেখে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো।

‘ওই ঘটনায় থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি যারা একাত্তরে বাংলাদেশ চায়নি; তারা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে।

তারা আবারো আগুন সন্ত্রাস, ককটেল আর পেট্রোল বোমা নিয়ে ভাবছে। ছক বানাচ্ছে, নীলনকশা করতে যাচ্ছে; এভাবে তারা ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চাচ্ছে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। তাদের পৃষ্ঠপোষক করছে এই দলটি।’

সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকা আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আসন্ন ইউপি নির্বাচন নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কাঁদা ছোড়াছুড়ির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউপি নির্বাচনে কী যে অবস্থা! যার সাথে যার বনে না তাকে বলে রাজাকারের ছেলে অথবা রাজাকারের নাতি অথবা নাতির ঘরে। বা শান্তি কমিটির মেম্বার ছিলো নানা। এসব অভিযোগে স্তূপ হয়ে গেছে পার্টি অফিস।

‘আমরা সবই অনুসন্ধান করি এবং প্রকৃত লোকদেরই দেওয়ার চেষ্টা করি। এর মধ্যেও কিছু ভুল হয়। আমরাও মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমাদের কিছু নেতা জনগণের চেয়ে নিজের লোভ খোঁজে।

একজন প্রতিনিধিকে একটি কনস্টিটিউন্সির ১৩টি দেওয়া হলো। একটা কেন দেওয়া হলো না। অভিযোগ এলো শান্তি কমিটির মেম্বারের ছেলে।…যুক্তিসঙ্গত হলে সেটি আমরা দেখি। আজকে এই বিষয়গুলো বড়ই বেদনার।’

তিনি বলেন, নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য রাজনীতি করি না। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাজনীতি করি।

এই করোনাকালে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাজনীতি করেন। শেখ হাসিনার ট্রু ফলোয়ার হলে দেশ সোনার দেশ হবে।

ভ্যাকসিন সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলিসি এবং দক্ষতা সারা দুনিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি শুধু বাংলাদেশে প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী নন বিশ্বেরও প্রশংসিত।

এ সময় দেশের অবকাঠামোখাতে আওয়ামী লীগের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে কী ছিলো বাংলাদেশ? আজ বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন শেখ হাসিনা তার ম্যাজিকেল লিডারশিপ দিয়ে।

আজকে পাহাড়েও রাস্তাঘাটের চেহারা পাল্টে গেছে। আগামী বছর মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় পাকিস্তানের চেয়ে সব সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন প্লাস। আর পাকিস্তানের ২২ বিলিয়ন।

আজকে আমাদের আয় ৭৩ পাকিস্তানের ৬৭। বাংলাদেশের এক টাকা সমান পাকিস্তানের ১ রুপি ৮৪ পয়সা সমান। কার ম্যাজিকেল লিডারশিপে এটা হলো? তিনি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম আহমেদ।

উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এফবিসিসিআইয়েল সাবেক সভাপতি ও ডি ৮ সিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর