মাছ ধরা নিয়ে চুক্তিতে ইইউ-যুক্তরাজ্য
সাগরে নিজদের জলসীমায় মাছ শিকার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বহুদিন ধরে সংকট চলছে। সম্প্রতি মাছ শিকারের চুক্তিতে পৌঁছেছে ইইউ ও যুক্তরাজ্য। তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, ব্রেক্সিট-পরবর্তী নিয়মের কারণে সমুদ্রের মাছের ওপর শোষণ বেড়েই চলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ চুক্তির সঙ্গে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কোনো সম্পর্ক নেই। ফ্রান্স উপকূল ঘেঁষে ক্রাউন ডিপেনডেন্সির (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) জার্সি ও গুয়েরন্সিতে ফরাসি জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে বিবাদ হয় দুই দেশের। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইইউ ও যুক্তরাজ্যের চুক্তিটি গত বছর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য চুক্তিকে আবারো সচল করেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশে মাছ ধরার কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। খবর এসোসিয়েট প্রেসের
বর্তমানে ইইউর সভাপতি দেশ হিসেবে নিযুক্ত আছে স্লোভেনিয়া। দেশটির মন্ত্রী জোজে পোডগোরসেক বলেন, উভয় পক্ষের গঠনমূলক পদক্ষেপের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পরিবেশ-বিষয়ক সচিব জর্জ ইউস্টিস জানিয়েছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে মৎস্য ব্যবস্থাপনা আরো দৃঢ় হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উপরে অর্থনৈতিক লাভ গুরুত্ব পেল। তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, এর ভুক্তভোগী হলো সামুদ্রিক মাছ।
ক্লায়েন্ট আর্থের বিশেষজ্ঞ জেনি গ্রসম্যান বলছেন, বেক্সিট-পূর্ব সময়ের মতো এ চুক্তির মাধ্যমে মাছ ও জেলেদের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ওপর স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক সুবিধাকে প্রাধান্য দেয়া হলো।