ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-রহমতগঞ্জ

আপডেট: January 7, 2022 |

ফেডারেশন কাপ ফুটবলকে বসুন্ধরা বয়কট করায় ট্রফির লড়াইয়ে আবাহনী-মোহামেডানকে দেখতে চেয়েছিল দুই জায়ান্টের সমর্থকরা। তবে ফেডারেশন কাপের রেকর্ড ১১ বারের শিরোপা জয়ী আবাহনী দ্বাদশ ট্রফি জয়ের কক্ষপথে থাকলেও মোহামেডানের ফেডারেশ কাপ অভিযাত্রা থেমে গেছে।

২০০৯ সালের পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ মোহামেডানের আর একটি ব্যর্থতার গল্প রচিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। রহমতগঞ্জের কাছে সেমিফাইনালে ২-১ গোলে হেরে থেমেছে তাদের যাত্রা।

মোহামেডানকে হারিয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আবারও ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে রহমতগঞ্জ।

খেলার ৫ মিনিটের মাথায় আলমগীরের কর্নার থেকে রিবাউন্ড হেডে রাজীব হোসেন মোহামেডানকে এগিয়ে দেন (১-০)। তবে ৬৭ মিনিটে আক্রমণে ওঠা রহমতগঞ্জের আজাহকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ডিফেন্ডার মেসিনোভিকি বহিষ্কৃত হয়ে মোহামেডানকে বিপদে ফেলে দেন।

৭৭ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকা মোহামেডান ধাক্কা খায় শেষ ১৩ মিনিটে। খেলার ৭৮তম মিনিটে অফসাইড ট্র্যাপ করতে যেয়ে ভুলটা করে বসে মোহামেডান। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল আয়ত্তে এনে তীব্র শটে সমতা আনেন রহমতগঞ্জের ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড (১-১)।

খেলার শেষ মিনিটে গোলমুখে আনমার্কড থাকা চিজোবা ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করে রহমতগঞ্জকে ফাইনালে নিয়ে যান (২-১)।

মুগদাপাড়ায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুষ্ঠিত আবাহনী-সাইফ স্পোর্টিয়ের দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি ছিল উত্তেজনায় ঠাসা।

নির্ধারিত সময়ে ফল নিষ্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচটি গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে ফল অমিসাংসিত থাকায় ম্যাচটি গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে সাইফকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আবাহনী।

দুই দলের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে খেলা শেষ হয়েছিল ৩-৩ সমতায়। দশম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল। ২০ মিনিটে সমতায় ফেরে সাইফ। গোল করেন এমফোনে।৭৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এমেকা গোল করে এগিয়ে দেন ক্রুসিয়ানির দলকে। ইনজুরি সময়ে গোল করে আবাহনীকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার কলিন্দ্রেস।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আবাহনী। অতিরিক্ত সময়ের ইনজুরি টাইমে ৩-৩ গোলে ম্যাচে সমতা আনেন সাইফের বদলি খেলোয়াড় সাজ্জাদ।

টাইব্রেকারে আবাহনীর মিলাদ শেখ সোলাইমানি, রেজাউল করিম, মেহেদি হাসান রয়েল, নুরুল নাইম ফয়সাল লক্ষ্যভেদ করেন। সাইফের এমেরি বাইসেঙ্গে, সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম লক্ষ্যভেদ করেন। জামাল ভূইয়া ও এমফন সানডে উদোহর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে জয়ের নায়ক গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।

এই খেলায় রেফারির পেনাল্টি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তার উপর চড়াও হয়েছে আবাহনী ফুটবলররা।

খেলার ৮০তম মিনিটে রেফারিকে ধাক্কা দিয়েছে আবাহনী ফুটবলাররা।১০১তম মিনিটে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় মাঠ ছাড়েন রেফারি সাইমুন হাসান। ম্যাচ পরিচালনায় নামেন মাহমুদ জামাল ফারুকী নাহিদ।

খেলার ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বাইসেঙ্গের প্রথম শট জালে জড়ালেও আগেই খেলোয়াড়রা বক্সে ঢুকে যাওয়ায় গোল বাতিল হয়। ফিরতি পেনাল্টি শট বাতিল হয়।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর