করোনার টিকাবিরোধী মিছিলে উত্তাল ইউরোপ

সময়: 3:39 pm - January 11, 2022 | | পঠিত হয়েছে: 4 বার

করোনা টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না। টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এই দাবিতে ইউরোপজুড়ে চলছে প্রতিবাদসভা ও মিছিল।

ব্রাসেলস থেকে অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক থেকে জার্মানি- সর্বত্র হচ্ছে টিকাবিরোধী বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ মাস্ক না পরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের দাবি, টিকা সনদ (ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট) নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না।

যারা টিকা নেননি, তাদেরও সব জায়গায় যেতে দিতে হবে। কোভিড-১৯ বিধি নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এবং কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার যে পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশের সরকার, তা বাতিল করতে হবে।

এদিকে গত কয়েকদিনে ইউরোপের একাধিক দেশে কোভিডের বিপুল বৃদ্ধি ঘটেছে। বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের টিকা নেওয়া নেই, তারাই এবার হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন।

বেলজিয়াম
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রবিবার প্রায় গোটা দিন ধরেই প্রতিবাদ চলে। প্রায় ৫ হাজার মানুষ মাস্ক না পরে সেই প্রতিবাদসভায় অংশ নেন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, টিকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। ‘টিকা একনায়কতন্ত্র’ বন্ধ করতে হবে।

বস্তুত, বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট না দেখালে রেস্তোরাঁ ও পানশালায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একেই টিকা একনায়কতন্ত্র বলে চিহ্নিত করছেন বিক্ষোভকারীরা।

আগের দিন শনিবারেও বেলজিয়ামে প্রতিবাদসভা হয়েছে। রবিবারের সভা থেকে প্রথমে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের হাতে আতসবাজি ছিল। পরে পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গত এক সপ্তাহে বেলজিয়ামে হাসপাতালে ভর্তির হার ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েছে ৯৬ শতাংশ।

চেক রিপাবলিক
চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগের অবস্থাও একই রকম। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে।

পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, ছাত্রদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। ৬০ বছরের ওপরের ব্যক্তিদেরও টিকা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। এরই প্রতিবাদে রবিবার রাস্তায় নামে টিকাবিরোধী জনগণ। তাদের স্লোগান ছিল ‘স্বাধীনতা চাই’। দ্রুত নতুন নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বস্তুত, প্রতিবাদের মুখে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে দেশের প্রশাসন। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক টিকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়াতেও রবিবার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে গোটা ইউরোপ জুড়েই টিকাবিরোধী প্রতিবাদ চলছে। যার জেরে কোভিড-১৯ আরও বাড়বে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা।

জার্মানি
গত কিছুদিন ধরে জার্মানির একাধিক শহরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। হ্যামবুর্গ থেকে ডুসেলডর্ফ- হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে টিকার বিরোধিতা করছেন। টিকা পাসেরও বিরোধী তারা।

করোনার জন্য সরকার যে সব বিধিনিষেধ চালু করেছে, তারও বিরোধী তারা। বস্তুত, জার্মানির রাস্তায় সহিংস প্রতিবাদও হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে হয়েছে পুলিশকে।
তথ্যসূত্র : ডয়েচে ভেলে

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর