গ্রামের নাম এমন, যা লজ্জায় উচ্চারণই করতে পারেন না গ্রামবাসী!

জন্মস্থানকে গর্বের সঙ্গে সবার কাছে তুলে ধরতে চান বেশিরভাগ মানুষ। তবে জন্মস্থানের নাম যদি এমন হয়, যা উচ্চারণ করতেও লজ্জা পান সেখানকার মানুষ! বাস্তবেই সুইডেনে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানকার বাসিন্দারা গ্রামের নাম নিয়ে বেশ বিপাকে আছেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, গ্রামের নাম পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু প্রশ্ন হল, কী সেই নাম? যা উচ্চারণই করা যায় না!

গ্রামবাসীর প্রধান সমস্যা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রামের নামটি তারা ব্যবহার করতে পারেন না। ফেসবুক তাদের পোস্টগুলো সেন্সর করে। এ জন্য অনলাইনে কোনও কেনা-বেচার পোস্টও তারা দিতে পারেন না।

এখন পর্যটকরাও নাকি গ্রামের প্রবেশমুখে গ্রামের নাম লেখা সাইনবোর্ডের সামনে ছবি তুলতে চান না। আর যারাও বা তোলেন, তারা নেতিবাচকভাবেই প্রচার করেন তা।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইডেনের ওই গ্রামের নাম ‘ফাক’। ২০০৭ সালে একবার নাম পরিবর্তনের আবেদন করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তাই আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন গ্রামবাসী।

সুইডেনের ফাক গ্রামের নামটি ঐতিহাসিক এবং ১৫৪৭ সালে এই নাম দেওয়া হয়েছিল।

ইনস্টিটিউট ফর ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ফোকলোর অনুসারে স্থানীয় ভাষায় হ্রদের ধারে খুব খাড়া পাহাড়ের উঁচুতে অবস্থান করায় গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছিল ফাক।

এদিকে সুইডেনে কোনও গ্রাম বা এলাকার নাম পরিবর্তন করা বেশ জটিল প্রক্রিয়া। দেশটিতে কোনও গ্রামের নাম পরিবর্তনের জন্য সেখানকার জাতীয় ল্যান্ড সার্ভে ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল হেরিটেজের মাধ্যমে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর এ জন্য স্থানীয় ইতিহাসকে খুব গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা হয়।

এর জন্য সুইডেনের জাতীয় ল্যান্ড সার্ভে ডিপার্টমেন্ট সেই গ্রামের নাম পরিবর্তন করতে সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু যতদিন গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হবে না ততদিন তাদের এই ক্যাম্পেইন চলবে বলেই জানিয়েছেন গ্রামের মোট ১১টি পরিবার।

তাদের ভাষ্য, তাদের গ্রামটি খুবই ভালো ও শান্ত। গ্রামের সকলেই এখানে থাকতে পেরে খুব খুশি। কিন্তু এরপরও তারা গ্রামের নাম বদলাতে চান।

কারণ, কেবল নামের কারণে তাদের সুন্দর গ্রামকে আপত্তিজনক ও অশালীন মনে হয়।

সূত্র: ডেইলি মেইল

বৈশাখী নিউজ/ জেপা