পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কীভাবে? গবেষণায় এল নতুন তথ্য

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে। এবার উঠে এল নতুন একটি তথ্য। সম্প্রতি নাসার এক গবেষণায় এই তথ্য সামনে এসেছে। সাধারণ জড় বস্তু থেকেই পৃথিবীতে প্রাণের উৎস বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। এছাড়াও প্রাণের জন্য কী কী বিশেষত্ব প্রয়োজন সেই প্রশ্নেরও খোঁজ চালিয়েছেন গবেষকরা। তবে পৃথিবীতে প্রাণের উৎসের জন্য দায়ী এক বিশেষ প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

মলিকিউলার টার্ম অনুযায়ী ওই প্রোটিন এমন অবস্থায় ছিল যা জীবনের জন্য আদর্শ। যেহেতু ধাতুর মধ্যে ইলেকট্রন পরিবহন সবথেকে ভালো হয় এবং প্রোটিনের মাধ্য়মে সবথেকে বেশি পরিমাণে বায়োলজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি হয়ে থাকে তাই গবেষকরা ধাতু এবং প্রোটিনের মিশ্রণটি আবিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। সেটাই হল ওই প্রোটিন যা ধাতুর মধ্যে বাঁধন তৈরি করে।

প্রোটিন কাঠামোর বিবর্তনের মাধ্যমেই বোঝা যায় কীভাবে নতুন প্রোটিন কাঠামো তৈরি হয়েছে। এই কারণে গবেষকরা একটি ডিজাইন তৈরি করেছেন। এই ডিজাইনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, ধাতুর সঙ্গে আবদ্ধ থাকা প্রোটিন যে ধরনের ধাতুর সঙ্গে আবদ্ধ থাকে তার উপরে নির্ভর করে না। নিজের উপরেই নির্ভরশীল থাকে ওই প্রোটিন।

গবেষণাপত্রের প্রকাশক নিউ ব্রান্সউইকের রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ইয়ানা ব্রমবার্গ বলেন, “আমরা দেখেছি প্রোটিনের মেটাল বাইন্ডিং কোরগুলি প্রোটিনের সঙ্গে এক না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা আরও দেখেছি মেটাল বাইন্ডিং কোরগুলি প্রায়শই একই রকমের আঁকার তৈরি করে। যা অনেকটা লেগো ব্লকের মতো দেখতে। এই ব্লকগুলি প্রোটিনের অন্য অংশেও দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র মেটাল বাইন্ডিং কোর ছাড়া অন্যান্য প্রোটিনেও এই ব্লক দেখা গিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে এই ছোট ব্লকগুলির পুনর্বিন্যাসের জন্য দায়ী। যা একটি অথবা অল্প সংখ্যায় পূর্বপুরুষের জন্ম দিয়েছে। এই সম্পূর্ণ নতুন ধরনের প্রোটিনই প্রাণের উৎস। আর এই প্রোটিনগুলোকেই আমরা এখন প্রাণ নামে আখ্যা দিয়েছি।”

তবে কীভাবে এই গ্রহে প্রাণের উৎপত্তি হল সেই বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। এই অজানা তথ্য জানাই আমাদের কাজ, বলে জানিয়েছেন ব্রমবার্গ।

এই গবেষণায় আর্থিক সাহায্য করেছে নাসা। বুয়েনস আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন।

সূত্র: এই সময়

বৈশাখী নিউজ/ ইডি