শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারে, মত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

আপডেট: February 13, 2022 |

গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নমুখী রয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার কমতে থাকায় ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় চলে আসায় তারা ক্লাসে ফিরে যেতে পারে
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়ে তিন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা শিক্ষার্থীদের সচেতন করবেন।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও সংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী আছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের একটি বড় অংশই টিকা নিয়েছে। সব পরিস্থিতি যদি আমাদের অনুকূলে থাকে তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যেতেই পারে।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা করোনার সঙ্গে গত দু’বছর ধরে ওই অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।

সতর্কতার সর্বোচ্চ পর্যায়টি যদি আমরা অবলম্বন করতে পারি, তাহলে মৃত্যু ও সংক্রমণ অবশ্যই কমে আসতে বাধ্য হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তবে আমরা দেখছি যে সংক্রমণের হার নিন্মমুখী হয়েছে।

আমরা টিকা কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, যে কারণে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে এবং হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছে।

মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এমনকি কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই কার্যকর রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

সপ্তাহের শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি এ হার এসে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নমুখী রয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন রোগী শনাক্তের হার যেখানে আট হাজার ৩৪৫ জন ছিল, সেটি ১২ ফেব্রুয়ারি কমে পাঁচ হাজার ২৩ জন হয়েছে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, অমর একুশে বইমেলা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। এ মেলায় যারা অংশগ্রহণ করবেন, যেসব প্রকাশক আছেন, স্টলে যেসব কর্মচারী কাজ করবেন তারা টিকার সনদটি সঙ্গে রাখবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় আসবেন।

টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাসমান মানুষদের টিকা আমরা রাজধানী দিয়ে শুরু করেছি, এখন একটি গোটা দেশেই ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে সারাদেশে কবে শুরু করা সম্ভব হবে সেটির নির্ধারিত তারিখ দিয়ে আমরা শুরু করতে পারব না। যেহেতু তারা নির্দিষ্ট কোনো একটি স্থানে বসবাস করে না, সেহেতু তাদেরকে একত্র করে টিকা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর