‘ডিস্কো কিং’র কিছু জানা-অজানা গল্প
চেহারার মতোই রঙিন ছিল বলিউডের ডিস্কো কিং বাপ্পী দার জীবন। ৬৯ বছরে আচমকা বিদায় নিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। রেখে গেলেন ভারতীয় সিনেমাকে দেওয়া একেবারে নতুন ধরনের সুরের ঘরানা।
কিন্তু শুধুই কি সুর-তাল-লয়? তার বাইরেও বাপ্পী লাহিড়ীর জীবন রীতিমতো রঙিন। সেই রঙিন ঘটনাগুলির অনেকগুলিই কমজানা, কিছু আবার অজানাই। রইল, তেমনই কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ।
বাপ্পীর জন্মসূত্রে নাম ছিল অলকেশ। সিনেমার জগতে আসার পরে নাম নেন বাপ্পী। ছেলের নাম অরুণেশ। একবার মজা করে বলেছিলেন, এই ধারা চলতে থাকলে, পরের জনের নাম হবে শ্যুটকেস!
১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ১২টি সুপার-হিট জুবিলি সিনেমার সুর দেন তিনি। যেটি একটি রেকর্ড। দিনে সর্বাধিক গানের রেকর্ডিং আছে তার।
বছরে সর্বাধিক গানের রেকর্ডের জন্যও গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছিল তার। ১৯৮৬ সালে তিনি ৩৩টি ছবির জন্য ১৮৬টি গান রেকর্ড করেন।
কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ির মামা। চলচ্চিত্র জগতে কাজ করতে আসার সুযোগ হয়েছিল মামার কারণেই।
একমাত্র ভারতীয় সুরকার তিনি, যাকে বিবিসি লন্ডনের হয়ে লাইভ পারফরম্যান্সের অনুরোধ জাানান জোনাথন রস।
‘জাস্টিস ফর উইডোজ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ‘হাউজ অব লর্ডস’-এর সম্মান দেওয়া হয়।
শোনা যায়, তার কাছে নাকি ১৭ লক্ষ টাকার চেয়েও বেশি দামের সোনার গয়না আছে।
২০১১ সালে আমেরিকান আইডল-জীয় শন বারোজের সঙ্গে তিনি ‘ওয়াকিং অন লাভ স্ট্রিট’ বলে একটি অ্যালবাম করেন।
‘ইউ ডোন্ট মেস উইথ দ্য জোহানস’ বলে হলিউডের ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ীর বিখ্যাত গান ‘জিমি জিমি আজা আজা’ ফিচার করা হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস