ইউক্রেনে হামলার যে ব্যাখ্যা দিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

আপডেট: March 14, 2022 |
print news

ইউক্রেন ও রাশিয়া ইস্যুতে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পক্ষপাতমূলক খবর প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছে রুশ দূতাবাস। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটাস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা নেই তার দেশের। আমরা ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা জোর করে কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না।
আমরা বহুবার ব্যাখ্যা করেছি যে ইউক্রেনের পরিস্থিতি এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যে এটি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (১৩ মার্চ) ঢাকাস্থ রুয়া দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার ভি মানতিতস্কি স্বাক্ষরিত এক খোলা চিঠিতে কেন রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

ইউক্রেন ইস্যুতে পক্ষপাতমূলক খবর প্রচার না করার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে তিনি বলেন, আমি ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা সংবাদ সংস্থা, প্রকাশনা, ইউরোপ ও আমেরিকার বিশ্লেষণমূলক লেখা সংগ্রহ করেছি। সেসব লেখায় রুশবিরোধী প্রোপাগান্ডা রয়েছে। কখনো কখনো ওই সব লেখায় এমন কিছু কথা প্রচার করা হয়েছে, যেগুলো প্রচণ্ড পক্ষপাতমূলক।

তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমের দেখাদেখি বাংলাদেশেও নির্দিষ্ট কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে এ ধরনের প্রচারণা চলছে।

বাংলাদেশি পাঠকদের কাছে ইউক্রেন নিয়ে রুশ সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য এবং কাজগুলো ব্যাখ্যা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

ক. ইউক্রেনের রুশ-ভাষী বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, যারা ৮ বছর ধরে কিয়েভ সরকার দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছেন।

খ. নব্য ফ্যাসিবাদ নির্মূল করা।

গ. ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ রোধ করা এবং

ঘ. ইউক্রেনে ন্যাটো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন বন্ধ করা।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো-

১. ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ও নাৎসি মতাদর্শ থেকে মুক্ত করা।

২. ইউক্রেনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা নব্য ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানো।

৩. রাশিয়ান ফেডারেশনের সীমান্তে সামরিক হুমকি দূর করা।

৪. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ ইউক্রেনের আগ্রাসী সত্ত্বাকে নিরস্ত্র করা।

৫. রাশিয়ান ফেডারেশনের আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনের বেসামরিক লোক ও রাশিয়ান ফেডারেশনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং শাস্তি দেওয়া।

৬. রাশিয়ান ফেডারেশনের পার্লামেন্টের অনুমতি নিয়ে জাতিসংঘের সনদের অনুচ্ছেদ ৫১ (অধ্যায় ৭ ) অনুসারে এবং দোনেতস্ক ও লোহেনস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহায়তার চুক্তি বাস্তবায়ন। এসব লক্ষ্যে মস্কো এই বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর