যৌনতায় ইউক্রেনীয় নারীদের চাহিদা তুঙ্গে

রুশ সামরিক অভিযানের মুখে ইউক্রেন ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির লাখ লাখ নাগরিক। পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ বিপুল শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। আশ্রয় নেয়াদের খাদ্য, চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করছে এসব দেশের সরকার।

ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা- ওএসসিই বলছে, সংকটের এই মুহূর্তে আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইউক্রেনীয় নারীদের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। বিভিন্ন নিষিদ্ধ সাইটে তাদের খোঁজার ইতিহাস ঘেঁটে সংস্থাটি বলছে, ইউক্রেনীয় যৌনকর্মী খোঁজার হার বেড়েছে ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত।

আয়ারল্যান্ডের বেসরকারি সংস্থাটি বলছে, আয়ারল্যান্ডে অবস্থান করছেন সবকিছু ফেলে আসা ইউক্রেনীয় নারীরা। আর এই সুযোগটা লুফে নিচ্ছেন অনেকেই। এসব নারীর যৌনসান্নিধ্য পেতে ইন্টারনেটে চলছে ব্যাপক খোঁজ।

ওএসসিইর বিশেষ প্রতিনিধি এবং মানব পাচার প্রতিরোধের কো-অর্ডিনেটর ভ্যালিয়েন্ট রিচি বৃহস্পতিবার এক অনলাইন সম্মেলনে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এ পর্যন্ত কেবল আয়ারল্যান্ডে যৌনতার জন্য ইউক্রেনীয় নারীদের খোঁজার হার বেড়েছে ২৫০ শতাংশ। অন্য সব দেশে এই হার ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত।

রিচি দাবি করেছেন, পতিতাবৃত্তি এবং অন্যান্য যৌন পরিষেবার জন্য আয়ারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় বাজার এসকর্ট আয়ারল্যান্ড। তারা গ্রাহকদের ইউক্রেনীয় নারীদের সঙ্গে যৌনতায় সুযোগ করে দিচ্ছে।

তবে এটা স্পষ্ট নয় যে ওয়েবসাইটের মালিকরা সরাসরি এই বার্তাটি প্রচার করছে নাকি সাইটের ব্যক্তিগত এসকর্ট বিজ্ঞাপনগুলো দেখাচ্ছে।

রিচি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে। পাচারকারীদের জন্য ইউক্রেনীয় নারীদের নিয়োগ ও শোষণের জন্য একটি শক্তিশালী প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। এগুলো আমাদের থামাতে হবে। সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার সম্ভবত এই সংকটের লাগাম টানতে পারবে।

সম্মেলনে অনেক বক্তা জানান, পাচারের ঝুঁকিতে থাকা ইউক্রেনীয়দের রক্ষায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। পাশাপাশি তারা কীভাবে আইনি সহায়তা পাবে, সে বিষয়ে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে।

আইরিশ ইনডিপেনডেন্টের তথ্য বলছে, গত বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজার শরণার্থী ইউক্রেন থেকে আয়ারল্যান্ডে এসেছেন। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ইউক্রেনীয় আয়ারল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টায় আসেন।

বৈশাখী নিউজ/ এপি