বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দুই বারের বহিষ্কৃত নেতা বাবুল

বিশেষ প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তৃণমূল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিটের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনের কাজ। তৃণমূলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আট বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নেতারা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে ত্যাগী ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পুরোনোদের ফের গুরুত্ব দেয়া হবে এমন ঘোষণাই বারবার দলীয় ফোরামে এবং গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি মামুনুর রশীদ এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে বহিস্কার হওয়া রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠানকে।

সম্পাদক বাবুল পাঠানের ফিরিস্তি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (দায়িত্ব প্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগ) এর নির্দেশনায় রায়পুর পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী লক্ষীপুর জেলা ও রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠানকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে তিনি শুধু পৌর নির্বাচন করেই থেমে যাননি তিনি। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জনাব হারুনুর রশীদের বিরূদ্ধে প্রার্থীতা বাতিলের জন্য বিভিন্ন দফতরে চিঠি চালাচালি এমনকি মামলা পর্যন্ত করেন। এবং নৌকার বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে দেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দলীয় প্রধানের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে বারবার নৌকার বিরূদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে তার হাতেই তুলে দেওয়া হলো নেতৃত্বের ভার। এটা শুধু অন্যায়ই নয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে রীতিমতন প্রতারণা।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, বাবুল পাঠানের বহিস্কার হওয়ার বিষয়টি সত্য। পরে জেলা আওয়ামী লীগ তাকে ক্ষমা করে দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ দেয়।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা