শেখ হাসিনার কারামুক্তি গণতন্ত্রেরই মুক্তি : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: June 11, 2022 |

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার কারামুক্তি গণতন্ত্রেরই মুক্তি। তিনি বলেন, `২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতারের পর বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তির জন্য সারাদেশে আন্দোলন এবং অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার ফলে আন্তর্জাতিক চাপ –এই দু`য়ের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলো।`

শনিবার (১১ জুন) সন্ধ্যায়  রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রায় দেড় মাস পর বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর অব্যবহিত আগে ক্ষমতায় ছিলো বিএনপি-জামাত। তারা দেশকে লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়ে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলো। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদেরকেই গ্রেফতার করার কথা। কিন্তু গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকেই আগে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।’

‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পর আমাদের অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা নিশ্চুপ ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলো, শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। এবং সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অনুসারীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের চিত্র উপস্থাপন করেছিলেন।

শেখ হাসিনার মুক্তির ঐক্যবদ্ধ এ প্রচেষ্টার ফলে বেগম জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন কারণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন ছিলো না।

বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়াকে শুধু বিদেশে নেয়ার ধুয়া না তুলে তার সুস্থতার দিকেই বিএনপি নেতারা মনোযোগ দেবেন বলে আশা করি। কারণ এর আগেও তারা যখন বেগম জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন বলেই চলেছিলেন তার মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আমাদের চিকিৎসকরা মেধাবী এবং গত সাড়ে ১৩ বছরে দেশে চিকিৎসাব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে, বিত্তশালীরাও এখন দেশে চিকিৎসা নেন, বলেন ড. হাছান।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী কুতুব উদ্দিন হারুনীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. শামসুল আলম তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদসহ পৌর আওয়ামী লীগ, উপজেলা যুবলীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতীলীগ, ছাত্রলীগ, প্রজন্ম লীগ নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর