বাংলাদেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশুকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা এক লাখ ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু ও কিশোর-কিশোরী করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।
ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও অন্যান্য মানবিক অংশীদারের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় টিকাদান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের টিকা দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১২ জুন) বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে শরণার্থী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেয়া হয়েছে।
ক্লাউ বলেন, শরণার্থীদের টিকাদান পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া দৃষ্টান্তমূলক নীতি এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মানবিক অংশীদার ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের অত্যন্ত প্রশংসনীয় প্রচেষ্টার ফল এই মাইলফলক।
বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের অর্ধেকের বেশি শিশু। জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রত্যেককে নিরাপদ রাখার চাবিকাঠি।
ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা, মানবিক অংশীদার, শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে কার্যকর টিকাদান অভিযানের ফলে মাত্র এক সপ্তাহে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী টার্গেট জনসংখ্যার প্রায় ১০০ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়েছে।
ক্যাম্পে বসবাসকারী আবুল জামিল বলেন, আমাদের টিকা দেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। এটি একটি সামান্য চিমটি ছিল, কিন্তু এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক অর্থ বহন করবে। টিকা নেয়ার পর আমরা নিরাপদ বোধ করি।
সামগ্রিকভাবে, প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯০ শতাংশ।