গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষণে ভন্ডপীর গ্রেপ্তার
বন্দরে এক গার্মেন্ট শ্রমিক(১৯) ধর্ষণ মামলায় আমজাত হোসেন নামে এক ভন্ডপীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে বারপাড়া বাকসরাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ভন্ড নিজেকে স্রষ্টা দাবি করে ওই গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণের পর তার কাছ থেকে গলার চেইনসহ ১ লাখ ৭০ হাজার হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ভন্ডকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই কৃষ্ণ পোদ্দার জানান, ঢাকা জুরাইন রেললাইন এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে আমজাত হোসেন দীর্ঘ দিন যাবত উপজেলার মুছাপুর ইউপি বারপাড়া বাকসরাইল গ্রামে শশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
এমতবস্থায় আমজাত হোসেন নিজেকে স্রষ্টা পীর দাবি করে একাধীক ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে এবং গার্মেন্টের এক নারী ভক্তকে নিজের আয়েত্বে এনে পাশ্ববর্তী ধামগড় ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া দশদোনা রমিজউদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসা নিয়ে এক সপ্তাহ আটক রেখে একাধীক বার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় গত বুধবার ভন্ডপীর আমজাদ হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ধর্ষিতা নারী। ধর্ষিতা নারী জানান, ৬ মাস পূর্বে একই গার্মেন্টেসের শ্রমিক হাসান আলী শুভর মাধ্যমে ভন্ডপীর আমজাদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয়।
এ পরিচয়ে আমাকে নানা ভাবে ফুসলিয়ে কিছু পেয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকে ওই ভন্ডপীর নগদ ১ লাখ টাকা ও এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন হাতিয়ে নেয়। ভাড়া বাসায় আমাকে আটক রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করে এই ভন্ডপীর। এসবের পর আমি ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসি।