বন্যা মোকাবিলায় ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

আপডেট: July 17, 2022 |

বন্যা মোকাবিলা ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। ডলারপ্রতি ৯০ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংকের এ ঋণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১৪ উপজেলার ১ দশমিক ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। বন্যাপ্রবণ জেলায় অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতিতেও এ ঋণ ব্যবহার করা হবে।

শনিবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারাবিলিটি রিডাকশন (রিভার) প্রকল্পের অধীনে বিশ্বব্যাংক এ ঋণ দেবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবে। প্রকল্পের আওতায় ৫ শতাধিক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, সংযোগ সড়ক এবং জলবায়ু সহনশীল কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এসব কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধা থাকবে।

উপকূলীয় এলাকার বাইরে ১৪টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এসব জেলা হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, সিলেট অঞ্চলে সাম্প্রতিক হৃদয়বিদারক বন্যা পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের গত পাঁচ দশকের দীর্ঘ অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে এ প্রকল্প উপকূলীয় এলাকার বাইরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এটি এই দেশকে ‘দুর্যোগে সাড়া’ দেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার’ দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।

‘রেজিলেন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার অব অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ ব্যবহার করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৫০০টির বেশি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, অ্যাকসেস রাস্তা এবং জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে নদী ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

স্বাভাবিক সময়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এসব অবকাঠামোতে সৌরশক্তি ব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশন এবং নানান স্বাস্থ্য সুবিধা থাকবে। নারী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রকল্পটি বন্যার প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং আচরণগত পরিবর্তনের পদক্ষেপে সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করবে।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর