ইউক্রেনে হামলা জোরদারের নির্দেশ রাশিয়ার
ইউক্রেনের উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। এতে শনিবার (১৬ জুলাই) ১৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটলেও সেনাদের আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু হামলা আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়ে জানান, দোনবাস অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিক এবং স্থাপনায় কিয়েভ গোলা ও রকেট হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার সামরিক অভিযান বর্তমানে পূর্ব দোনবাস অঞ্চলকেন্দ্রীক হলেও, উত্তর ও দক্ষিণ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলেও রুশ সামরিক বাহিনী নতুন করে হামলা করছে। এছাড়া ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও বোমা হামলা করছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোতে দ্বিতীয় দফায় সর্বাত্মক রুশ হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ইউক্রেনের চুহুইভ শহরে রুশ হামলায় অন্তত ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। বিধ্বস্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ি। পার্শ্ববর্তী সুমি অঞ্চলে রুশ সীমান্তের কাছেই তিনটি শহর ও গ্রামে গোলা হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। মস্কোর বিরুদ্ধে ভিনিৎসিয়াতে চিকিৎসাকেন্দ্র ধ্বংসের অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেগুলো আবারও ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছিল তার অনেকাংশই আমরা পুনরায় দখলে নিয়েছি। অন্যান্য অঞ্চলও আমরা ধীরে ধীরে ফিরিয়ে আনব।
এদিকে ইউক্রেনের ৩০ হাজার মানুষকে রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে শিশুই পাঁচ হাজার। রুশ প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন। অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।