পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হামজা শাহবাজ

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) যৌথ প্রার্থী চৌধুরী পারভেজ এলাহির বিরুদ্ধে নাটকীয়ভাবে তিন ভোটে জয়ের পর পিএমএল-এন নেতা হামজা শাহবাজ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। শনিবার তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হামজা শাহবাজ দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে।

পাঞ্জাবের গভর্নর বালিগ উর রহমান অবশেষে হামজা শাহবাজকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি গভর্নর হাউজে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে পিএমএল-এন নেতাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনে পারভেজ এলাহি শুক্রবার পিএমএল-এন-এর হামজা শাহবাজের কাছে হেরে যান। পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি পিএমএল-কিউ সদস্যদের ভোট গণনা করা হয়নি বলে রায় দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

ডেপুটি স্পিকার মাজারির মতে, হামজা ১৭৯ ও এলাহি ১৭৬ ভোট পেয়েছিলেন। তবে এলাহির নিজের দলের ১০ ভোট গণনা করা হয়নি।

ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মাজারির পিএমএল-কিউ ভোট প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনের রায়ের পর, পিটিআই ও পিএমএল-কিউ নেতারা একটি পিটিশন দাখিল করার কথা জানান।

এদিকে, পিটিআই নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে, পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপ-নির্বাচনে বড় জয় পায় ইমরান খানের দল পিটিআই। রোববার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় পায় পিটিআই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী সারওয়ারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে চৌধুরী মুহাম্মদ সারওয়ারের কাছে উসমান বুজদার তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদটি খালি হয়।

পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ হলো বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব ও সিন্ধু। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে হলে ৩৭১ ভোটের মধ্যে ১৮৬টি ভোটের প্রয়োজন। যেখানে পিটিআইর আছে ১৮৩ জন আইনপ্রণেতা। পিএমএল-কিউর আছে ১০, পিএমএল-এন’র আছে ১৬৬ এবং পিপিপির আছে সাতজন আইনপ্রণেতা।

সূত্র: জিও নিউজ

বৈশাখী নিউজ/ এপি