পার্থ-অর্পিতা ১৪ দিনের জেল হেফাজতে

পশ্চিমবঙ্গে স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হলে, বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন। তার আগে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়।

ইডির আবেদনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকবেন প্রেসিডেন্সিতে এবং অর্পিতার ঠিকানা আলিপুর সংশোধনাগার। দু’জনেরই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলে গিয়ে তাদের জেরা করতে পারবেন। আগামী ১৮ আগস্ট ফের আদালতে তোলা হবে তাদের।

এর আগে আদালতে দু’জনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদনের বিপরীতে পার্থ জামিনের আবেদন করলেও অর্পিতার আইনজীবীরা জামিনের আর্জি জানাননি। বরং তারা অর্পিতাকে প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে জেলে রাখার আবেদন করেন।

অর্পিতার আইনজীবী আদালতকে দু’টি বিষয় জানিয়েছেন। এক, অর্পিতার জীবনযাপনের দিকে নজর রেখে যেন তাকে প্রথম শ্রেণির কয়েদি হিসেবে জেলে থাকতে দেয়া হয়। দুই, অর্পিতার নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়। কেন না, তার প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে। এমনকি আদালতকে অর্পিতার আইনজীবীরা বলেছেন, অর্পিতাকে যেন খাবার বা পানি দেয়ার আগে পরীক্ষা করে নেয়া হয়। কেউ যেন সেই খাবার মুখে দিয়ে দেখেন। কেন না তা থেকেও অর্পিতার প্রাণ সংশয়ের ভয় থাকতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমে দুই দফায় অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি রুপি ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে ইডি। পাশাপাশি পার্থ ও অর্পিতার নানা সম্পত্তির বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নজরে রয়েছে শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাড়িটিও। কয়েকদিন আগেই শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকের ফুলডাঙার ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। ওই বাড়ি থেকে জমি সংক্রান্ত নথি, ব্যাংকের কিছু নথি ও কোম্পানির কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি সূত্র

বৈশাখী নিউজ/ এপি