পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

আপডেট: August 9, 2022 |

আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা। দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনাবহুল এই দিন ত্যাগ ও শোকের পাশাপাশি মুসলিমবিশ্বে পবিত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

৬৮০ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৬১ হিজরি সালের ১০ মহরম তারিখে ইরাকের কুফা নগরীর অদূরে ফোরাত নদীতীরবর্তী কারবালা প্রান্তরে উমাইয়া শাসক ইয়াজিদ বাহিনী কতৃ‌র্ক অবরুদ্ধ হইয়া ৭২ জন পরিবার-পরিজন ও সঙ্গী-সাথিসহ নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত হোসাইন বিন আলি (রা.)। তাই এই দিনটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য গভীর শোকের দিন।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। কোনো ধর্মই হানাহানি, হিংসা, বিভেদ সমর্থন করে না। পবিত্র আশুরার এই দিনে আমি সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

তিনি আরও বলেন, কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে, প্রেরণা যোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সবার জীবনে প্রতিফলিত হোক এ প্রত্যাশা করি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পবিত্র আশুরা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

আশুরা উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তাজিয়া মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, তাজিয়া মিছিলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ প্রশাসন কিছু বিধিনিষেধ অরোপ করেছে। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আশুরা উপলক্ষে আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাজিয়া মিছিল বের করা হবে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার হোসেইনী দালান ও মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকা থেকে বের হবে বড় তাজিয়া মিছিল। এসব তাজিয়া মিছিলের নির্বিঘ্নতা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রোববার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত তাজিয়া মিছিলে পাইক দলভুক্ত ব্যক্তিবর্গ দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে অংশগ্রহণ করে, যা ক্ষেত্র বিশেষে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এতে ধর্মপ্রাণ ও সম্মানিত নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতিসহ জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া মহররম মাসে পবিত্র আশুরা উপলএক্ষ আঁতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর