ইউক্রেনের পণ্য এশিয়া-আফ্রিকায় পাঠাতে দিচ্ছে না পশ্চিমারা

আপডেট: August 12, 2022 |
print news

ইউক্রেনের বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠানোর কথা থাকলেও পশ্চিমা দেশগুলো তা নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মস্কো। এক বিবৃতিতে রুশ তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলেও এ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কোনো মাথাব্যথা নেই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অস্থির বিশ্ববাজার। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দেশে দেশে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। বিশেষ করে রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণ সেই সংকট আরও জটিল তীব্র আকার ধারণ করে।

ইউক্রেনসহ রাশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে আটকে যায় মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য। এই অবস্থায় আফ্রিকার সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া, সুদান, এশিয়ার ইয়েমেন, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ খাদ্যসংকট। বিশ্বব্যাপী বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম।

সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রনের মধ্যে খাদ্যপণ্য আমদানির বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গত ১ আগস্ট থেকে ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর থেকে একে একে খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যেতে শুরু করে।

ইউক্রেনের খাদ্যবাহী জাহাজগুলো আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোতে যাওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমা দেশগুলো সেগুলো রেখে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলেও তার তোয়াক্কা করছে না পশ্চিমা বিশ্ব। বরং নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত তারা।

রাশিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় উপপরিচালক ইভান নেচায়েভ বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যাওয়া একটা জাহাজও খাদ্য সংকটে থাকা আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোতে পৌঁছেছে এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। এটা পশ্চিমাদের স্রেফ স্ট্যান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। সারাবিশ্বে রাশিয়ার সূর্যমুখী ভোজ্যতেল ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অথচ সেটি যাতে না পৌঁছায় তার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তারা।

বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের সমাধানে আংকারা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে মস্কো। একই সঙ্গে রাশিয়ার উৎপাদিত খাদ্যপণ্য রফতানিতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ারও দাবি জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর