বৈদেশিক সাহায্য চায় বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান
ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। গত জুলাই মাস থেকে পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩০ জনে। বন্যার কারণে আরও ১ হাজার ৩৪৮ জন আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বন্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে পাকিস্তান।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন ও জিও নিউজ।
এক সংবাদ সম্মেলনে, বর্তমান বিপর্যয়ের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায় থেকে অবিলম্বে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেরি রেহমান।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশে ২১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় প্রায় ১৫ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই প্রদেশে। সিন্ধুর, বেলুচিস্তানেরআশ্রয়কেন্দ্রও বিপজ্জনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, যা দূভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রবল বর্ষণে প্রথমে বন্যা হয়। এরপর টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সিন্ধু প্রদেশের আরও ৩০ জেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এই মুহুর্তে, সিন্ধু নদীর পানি উপচে সিন্ধু রাজ্য প্লাবিত হয়েছে, যা বিপর্যয়ের বর্তমান কেন্দ্রস্থল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি জানান, বন্যার্তদের জন্য ২৫ হাজার রুপি করে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে বন্যায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। এর পাশাপাশি আহতদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মেরামতেও সহায়তা দেওয়া হবে।
সরকারের ত্রাণ তৎপরতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে শেহবাজ বলেন, বন্যা দুর্গতদের নগদ ত্রাণ হিসাবে সরকার ৩ হাজার ৭২০ কোটি রুপি বিতরণ করছে। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে গতি আনতে এনডিএমএ’কে আরও ৫০০ কোটি রুপি দেওয়া হয়েছে।