গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকছেদ আলম

মাছুদ পারভেজ,গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনও সুষ্পষ্ট না হলেও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান এসএম মোকছেদ আলম নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের কাছে আগাম দোয়া ও ভোট চাচ্ছেন।

তিনি এলাকায় আলম হিসেবেই বেশি পরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থেকে স্নাতকোত্তর  ডিগ্রিধারী আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা।

মোকছেদ আলম ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে গাজীপুর জেলা পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। তিনি ছাত্রজীবনে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৮৪-৯০ সালে সাবেক জয়দেবপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০২ সালে সাবেক বাসন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।
মোকছেদ আলম স্বর্ণা পোল্ট্রি ফিড’র সাবেক স্বত্তাধিকারি, শালবন এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাওয়ার ফিস এন্ড পোল্ট্রি ফিড লিমিটেড’র চেয়ারম্যান, বস এগ্রো ফার্ম ও কমপ্লেক্সের মালিক, বুলবুল টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিলাশী মৎস খামারের স্বাত্তাধিকারী, গাজীপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এবং গাজীপুর পোল্ট্রি বহুমূখী সামগ্রী বিক্রেতা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দলের পক্ষ থেকে এ পদে এখনও কাউকে মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত করা হয়নি। তারপরও দলের হাইকমান্ড যাকে যাকে সিদ্ধান্ত দেয় তা তিনে মেনে নেবেন।

গত মেয়াদে করোনাকালে অসুস্থতা জনিত কারণে তাকেই বেশিরভাগ সময় চেয়ারমানের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে এসএম মোকছেদ আলমকেই।

এ থেকে জেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যানকে কি কি দায়িত্বপালন করতে হয় এবং এলাকাবাসীর জন্য কিভাবে কোন কাজটি করতে হয়, নানা সমস্যা সমাধানে কি ধরণের পদক্ষেপ নিতে হয় সে বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তিনি।

দলীয়ভাবে এ পদে কাউকে মনোনয়ন চ‚ড়ান্ত না করলেও আলম নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটারদের কাছে এবং দলীয় পর্যায়ে তদবীর শুরু করেছেন। এর আগে মো. আখতারুজ্জামান এ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই পদের মেয়াদ শেষ হলে সম্প্রতি তাকে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন কি-না তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও দেননি।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী বা বামদলগুলোর তৎপরতা চোখে পড়েনি।