এশিয়া কাপে ব্যাটিং-বোলিংয়ে সেরা যারা
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে ২৩ রানে পরাজিত করে এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছে শ্রীলঙ্কা। এদিন পাকিস্তানের ওপর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন ইভেন্টেই দুর্দান্ত ছিল লঙ্কানরা।
গত মাসের ২৭ আগস্ট শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানদের কাছে পাত্তাই পায়নি শ্রীলঙ্কা। অথচ সেই শ্রীলঙ্কা এখন টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন।
সুপার ফোরে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলে তারা শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে পরাজিত হয়।
চলতি আসরে পাকিস্তান-ভারতের দুই হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। প্রথমটিতে ভারত জয় তুলে নিলেও দ্বিতীয়টিতে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এছাড়াও উত্তেজনা ছড়ায় সুপার ফোরে পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ। শেষ ওভারে এসে পর পর দুই বলে দুই ছয় মেরে আফগানদের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন পাকিস্তানের নাসিম শাহ। যা অনেকদিন মনে থাকবে ক্রিকেট বিশ্বের।
এবারের আসরেই প্রায় তিনবছর পর আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তেমনি আসরে নিজের ছায়া হয়ে রয়েছেন টি-টোয়েন্টির সাবেক নাম্বার ওয়ান ব্যাটার পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে বাবর সংগ্রহ করেছে মাত্র ৬৮ রান। যা তার সঙ্গে মানানসই নয়। তবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পাক উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। যার ফল স্বরূপ অধিনায়ক বাবরকে টপকে হয়েছে টি-টোয়েন্টির নতুন নাম্বার ওয়ান ব্যাটার। ৬ ম্যাচ থেকে তার সংগ্রহ ২৮১ রান।
ব্যাটিংয়ের শীর্ষ পাঁচ
মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান) ৬ ম্যাচ, ২৮১ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৮ রান।
বিরাট কোহলি (ভারত) ৫ ম্যাচ, ২৭৬ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২২ রান।
ইবরাহিম জাদরান (আফগানিস্তান) ৫ ম্যাচ, ১৯৬ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান।
ভানুকা রাজাপাকশে (শ্রীলঙ্কা) ৬ ম্যাচ, ১৯১ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭১ রান।
পাথুম নিশান্কা (শ্রীলঙ্কা) ৬ ম্যাচ, ১৭৩ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৫ রান।
আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত সুপার ফোর থেকে ছিটকে গেলেও বল হাতে রাজত্ব করে গেছে পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শ্রীলঙ্কার স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।
বোলিংয়ের শীর্ষ পাঁচ
ভুবনেশ্বর কুমার (ভারত) ৫ ম্যাচ, ১১ উইকেট, সর্বোচ্চ ৪ রানে ৫ উইকেট।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) ৬ ম্যাচ, ৯ উইকেট, সর্বোচ্চ ২১ রানে ৩ উইকেট।
মোহাম্মদ নওয়াজ (পাকিস্তান) ৬ ম্যাচ, ৮ উইকেট, সর্বোচ্চ ৫ রানে ৩ উইকেট।
শাদাব খান (পাকিস্তান) ৫ ম্যাচ, ৮ উইকেট, সর্বোচ্চ ৮ রানে ৪ উইকেট।
হারিস রউফ (পাকিস্তান) ৬ ম্যাচ, ৮ উইকেট, সর্বোচ্চ ১৬ রানে ৩ উইকেট।