বার্সেলোনার হারের দিনে প্লাজেনের জালে বায়ার্নের গোল উৎসব

বার্সেলোনার হারের দিনে গ্রুপ সি থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের জয়ের দিনে প্রতিপক্ষ ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে ধসিয়ে দিয়েছে জার্মান ক্লাবটি। তিন ম্যাচে শতভাগ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বাভারিয়ানরা।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতেছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। জোড়া গোল করেন লেরয় সানে। একটি করে সাদিও মানে, সের্গে জিনাব্রি ও এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এদিন জশুয়া কিমিখ, থমাস মুলার খেলতে পারেননি।

ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন চলতি আসরে তিন ম্যাচে ৯ গোল করার বিপরীতে একটিও হজম করেনি। প্রথম দুটিতে ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনাকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে।

এ জয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়ল বায়ার্ন। প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইল তারা। চেক রিপাবলিকের ক্লাব প্লাজেনের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতল মিউনিখের দলটি।

ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম ২১ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল করে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। স্কোর শিটে নাম লেখান লেরয় সানে, সার্জ গ্র্যানার্বি ও সাদিও মানে।

সপ্তম মিনিটে যার সূচনা করেন সানে। জামাল মুসিয়ালার সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। আসরে দলের প্রথম তিন ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন ২৬ বছর বয়সী এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

ত্রয়োদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জিনাব্রি। লেয়ন গোরেটস্কার পাস ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী জার্মান ফরোয়ার্ড। খানিক পর বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে স্কোরশিটে নাম লেখান মানে।

প্রথমার্ধে ৩-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ভয়ঙ্কর বায়ার্ন। জোড়া গোল পূর্ণ করেন লেরয় সানে। ৫০তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও আসরে চতুর্থ গোলের দেখা পান সানে। মানের ক্রস ডি-বক্সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

৫৯তম মিনিটে গোরেটস্কার পাস ধরে স্কোরলাইন ৫-০ করেন দ্বিতীয়ার্ধে মুসিয়ালার বদলি নামা চুপো মটিং। ক্লাবের হয়ে ২২৭ দিনের গোল খরা কাটালেন ক্যামেরুনের ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

শেষ দিকে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত তবে প্লাজেন গোলরক্ষ যদি বায়ার্নের আক্রমণগুলো প্রতিহত ঠেকাতে ব্যর্থ হতেন।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি