ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না : কাদের
ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি খারাপ হয়ে যাবে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগে টানা তিনবার কেউ সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার।
এ সময় জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে ১৪ দলের জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পাটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাদের বলেন, রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব রয়েছে। ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর মতে, এদেশকে এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে এবং বিজয়কে সুসংহত করতে ও উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি অপরাজনীতি করা দল, তারা রাজনৈতিক বেয়াদব, তারা কি রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? তাদেরকে মেরামত করতে হবে।
বাসদ সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়ার মতে, বিএনপি অরাজনৈতিক ধারাকে অনুসরণ করে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সংবিধানকে আবারও বিএনপি ক্ষতবিক্ষত করতে চায়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় থাকবে।
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি বিভিন্ন অপতৎপরতার মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে বিলুপ্ত করে বিএনপি আবার দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।
জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র ছিলো, থাকবে; তবুও, মানুষের কল্যাণের কথা বলতে হবে। অন্যদলের ষড়যন্ত্রকারীদের পাশাপাশি নিজ দলের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসময় বিএনপির বিভিন্ন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর পাশাপাশি নিজ দলের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ আহবান জানান বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচনকে বাদ দিয়ে অন্য পন্থা অবলম্বনকারীদের যেকোনো মূল্যে রুখে দিয়ে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।