তানোরে দু’গৃহবধুর ইজ্জ্বতের মূল্য ‘ভূল’ শিকার
তানোর রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে দুই গৃহবধূর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্ত দোকানি আপেল রহমানকে ভূল শিকার করিয়ে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর গ্রামের কেফাজ উদ্দিনের পুত্র আপেল রহমান (৩৩) মাদারীপুর বাজারে মুদি দোকান করেন।
তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী এক নারী তিন সন্তানের জননীর সঙ্গে পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
কিন্ত্ত তাকে বিয়ে না করে অপর এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এতে আপেলকে নিয়ে দুই নারীর মধ্যে প্রচন্ড বিরোধের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে গত ১৫ জানুয়ারী রোববার দিবাগত রাতে আপেল দ্বিতীয় প্রমিকার (নারী) ঘরে প্রবেশ করে দৈনিক মিলনে আবদ্ধ হয়।
এমতাবস্থায় প্রথম প্রেমিকা (নারী) আপেলকে হাতেনাতে আটক করে। এতে আপেল ক্ষিপ্ত হয়ে প্রমথ প্রেমিকার ওপর চড়াও হয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এ সময় তার চিৎকারে তার স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার ও আপেলকে লাঠিপেটা করে। তাদের লাঠির আঘাতে আপেলের মাথা ফেটে যায়। এঘটনায় পরদিন সোমবার ভিকটিম বাদি হয়ে আপেলকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল অভিযোগ তুলে নিয়ে আপোষের জন্য ভিকটিমকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৮ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে মামুনুর রশিদ মামুন ও নির্মল কুমারের নেতৃত্বে ভিকটিমের প্রতিবেশীর (বেয়াইন) বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে।
সালিশ বৈঠকে আপেল রহমান ঘটনার জন্য দুই নারীর কাছে ক্ষমা চেয়ে ভূল শিকার করেন। এতে সালিশদারগণ তাকে ক্ষমা করে দায়মুক্তি দেয়।
পরে ভিকটিমকে দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করানো হয়। এদিকে বিচারের নামে এমন প্রহসণের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, তারা আপেলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
কারণ আপেল এর আগেও এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্ত্ত বিত্তশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় বার বার ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, এক নারী আপেলের বিরুদ্ধে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ দিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, কোনো সালিশ হয়নি, স্থানীয়ভাবে দুপক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে। এবিষয়ে ভিকটিম বলেন, অভিযোগ দেয়ার পরেও পুলিশ আসেনি তাই মিমাংসা করা হয়েছে। #