নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় জামিন পেলেন ইরফান সেলিম

আপডেট: February 9, 2023 |

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে জামিন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর তাকে জামিন দেন।

আগের দিন বুধবার নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধরের মামলায় ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। পরোয়ানা জারির একদিনের মাথায় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আজ। শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দেন। তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

বুধবার ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই দিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। একই সঙ্গে আগামী ৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মিজানুর রহমান ও রিপন কাদিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওই দিনই দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরের দিন (২৭ অক্টোবর) র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের আইনে মামলা দায়ের করেন।

চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে ইরফান ও জাহিদুলকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর