২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু

আপডেট: February 12, 2023 |

রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে আজই নিশ্চিত হয়ে যাবে তার পদ।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু’র মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন।

তফসিল অনুযায়ী রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে এবং মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। এরপর আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।

দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আর রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবক হতে হয় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবে না বলে আগেই জানিয়েছে। আর সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন। যেহেতু অন্যকোনো দল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করার বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পুর ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর