গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগে মতবিরোধ

আপডেট: February 17, 2023 |

আলিফ হোসেন, তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের আদর্শিক, ত্যাগী এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে হঠাৎ করে মতবিরোধ, দলীয়কোন্দল ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ।

উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের (ইউপি) আলোচিত চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ভুক্ত এবং কুখ্যাত মাদক কারবারি সোহেল রানা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও মঞ্চে উপস্থিত থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে এমন মতবিরোধ ও কোন্দলের সুত্রপাত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয়রা বলছে, সোহেলদের মতো একশ্রেণীর মাদক চোরাকারবারি এবং কালো টাকার মালিকদের কারণে দলের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। তাদের অবৈধ কারবারে যখনি টান পড়ে, তখনি তারা এমপিসহ মুলধারার সঙ্গে মিশতে মরিয়া উঠে। আবার মোটাতাজা হয়ে সময় সুযোগ বুঝে ফের মুলধারা, নৌকা ও এমপির বিরোধীতা করে।

তারা আসলে মতলববাজ তাদের মতো অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডদের নিয়ে দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি আমজনতা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ।

তৃণমূলের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত, ত্যাগী নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে বঞ্চিত রয়েছে। অথচ সোহেলদের মতো জনবিচ্ছিন্ন,বিতর্কিত অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে।

গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, সোহেল চিহ্নিত মাদক ও চোরাকারবারি, নিজ ফ্ল্যাটে ফুর্তির সময় নারীসহ আটক, প্রকল্পের টাকা আত্মসাত ইত্যাদি কারণে সে বিতর্কিত ও সমাজের ঘৃনিত ব্যক্তিততে পরিনত হয়েছে।

তিনি বলেন, সে নিজে অতি উৎসাহী হয়ে এমপির সামনে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করেন এবং কৌশলে সেই ভিডিও বিভিন্ন ব্যক্তির ম্যাসেন্জারে দিয়ে এমপিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, এসব কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে সোহেলের উপস্থিতি নেতাকর্মীরা মানতে পারছে না। এক কথায় গোদাগাড়ী আওয়মী লীগের বিঁষফোঁড়া সোহেল রানা।

ফলে সোহেলদের মতো বিতর্কিত ও ঘৃনিত ব্যক্তিদের প্রতিহত করা না হলে, দায়িত্বশীল অনেক নেতা আগামী নির্বাচনে স্বপক্ষ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর