বগুড়ার `সন্ত্রাসী’ নয়ন হত্যায় চারজন গ্রেপ্তার

আপডেট: March 22, 2023 |

শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার গাবতলীতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেলা খুন হন নাহিদিল ইসলাম নয়ন। এঘটনায় গোয়েনা পুলিশ(ডিবি) ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার গসবতলী উপজেলার চক মরিয়া গ্রামের আঃ সালাম প্রামাণিকের ছেলে মোঃ সাগর(২২), একই এলাকার মরিয়া গোলাবাড়ির মোঃ জিন্নাত আলীর ছেলে মোঃ রকি (২৪), মহিষাবান মধ্যপাড়ার মোঃ নিলু প্রামাণিকের ছেলে মোঃ জনি মিয়া(২৩) এবং মহিষাবান দহ পাড়ার মুক্তি সরকারের ছেলে মোঃ সাকিল হোসেন(২৩)।

বুধবার (২২ মার্চ)  সন্ধ্যায় ডিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে গত ১১ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবাদ দেবোত্তরপাড়া,সোনারপাড়ায় একটি নির্জন বাঁশঝাড়ে নাহিদুল ইসলাম নয়নকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

এসময় নয়নের চিৎকার দিলে স্হানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্হায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে নয়নের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গাবতলী মডেল থানার একটি মামলা দায়ের হয়।

ডিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাবতলী থানায় মামলা দায়ের পর ডিবি পুলিশের একটি টিম আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযানে নামে।

এর পর ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত ওই ৪জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যান্ডে জড়িত থাকায় স্বীকারোক্তি মু্লক জবানবন্দি দিয়েছে।

বগুড়ার ডিবির ইনচার্জ(ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাহিদুল ইসলাম নয়নের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় তার একদিন নাহিদুল ইসলাম নয়নকে মহিষাবান ত্রিমোহনী বাজারে আসামি সাগরকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে।তখন সাগর বিষয়টি তার সহযোগী রকিকে জানায়।

এরপর জনি ও শাকিলকে নিয়ে তারা চারজন একত্রিত হয়। বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় তারা নয়নকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। এরপর তারা লাঠি ও এসএস পাইপ নিয়ে সিএনজি ভাড়া করে নয়নের এলাকায় যায়।

মহিষাবান দেবোত্তরপাড়া সোনারপাড়া এলাকার একটি বাড়ির পিছনে আসমিরা নয়নকে দেখতে পেয়ে লাঠি ও পাইপ দিয়ে নয়নকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঘটনাস্হ থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্হানীয়রা নয়নকে আহত অবস্হায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসা অবস্থায় নয়নের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ওই হত্যাকান্ডে অপর পালাতক ও অজ্ঞাত আসামিদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর