রমজানে দাম বাড়লো যে সকল পণ্যের

আপডেট: March 23, 2023 |
inbound7774154621608974336
print news

পবিত্র রমজান মাস এলেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এদেশের বেশ পুরোনো বিষয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি দেশের বাজারে চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদ, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে।

গত বছর রমজানে যেখানে চিনির কেজি ছিলো ৭৮ থেকে ৮০ টাকা সেখানে এবারের রোজার ঠিক আগে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে।

বছরের মাথায় চিনির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৭ থেকে ৪০ টাকা।

উদাহরণ ব্রয়লার মুরগি। নিম্নবিত্তের প্রাণিজ আমিষের এই বড় উৎসটি এখন তাদের নাগালছাড়া। টিসিবির হিসাবে ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দর উঠেছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়, যা গত বছরের রমজানের চেয়ে ৫১ শতাংশ বেশি। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে।

একই অবস্থা ডিমের বাজারেও। ফার্মের মুরগির প্রতি হালি ডিম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রমজানে যা ছিলো ২৮ থেকে ৩৫ টাকা। আটা, ময়দা, ছোলা, রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদ, মাছ, মাংসের অবস্থাও একইরূপ। দাম বেড়েছে লবণেরও।

ইফতারে প্রধান উপকরণ খেজুর। সেটাও বলা যায় নাগালের বাইরে। যদিও ১৯ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায় উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার রোজায় মূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় গত রমজানের তুলনায় সব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের চাহিদা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম থাকবে।

বাজারে মাছের দামেরও আগুন। গত বছর ছোট পাঙাশ মাছ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেজি পাওয়া গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। বুধবার রাজধানীর মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। মাঝারি আকারের তেলাপিয়া কেনা যাচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়।

আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাহ্‌রি খাওয়ার পর শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হবে। বাজারে ইতোমধ্যে রোজার কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে। তবে বাজারে বেচাকেনা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এর প্রধান কারণ হিসেবে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন যাপনে পরিবর্তনই উল্লেখযোগ্য। শুধু রাজধানীতে নয়, সারাদেশে অবস্থা একই।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর