গুয়াতেমালায় ফের অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধসের আশঙ্কা

আপডেট: May 5, 2023 |

মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বৃহস্পতিবার অগ্ন্যুৎপাতে রাজধানীর অদূরের খামার ও শহরগুলির ওপর ছাইয়ের ঘন মেঘ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গুয়াতেমালার কর্তৃপক্ষ ১ হাজারের বেশি লোককে সরিয়ে নিয়েছে এবং একটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

নাগরিক সুরক্ষা কর্মকর্তা অস্কার কসিও বলেন, আগ্নেয়গিরির পাদদেশের কাছের পাঁচটি সম্প্রদায় থেকে ১ হাজার ৫৪ জনকে সরিয়ে আশ্রয়ের জন্য একটি স্পোর্টস হলে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্থাানান্তরিতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

গুয়াতেমালার কনরেড বিপর্যয় কেন্দ্র বলেছে , ফুয়েগো নামক আগ্নেয়গিরির প্রবাহ গ্যাস, ছাই এবং পাথরের টুকরোর একটি উচ্চ-তাপমাত্রার মিশ্রণ আগ্নেয়গিরির কমপ্লেক্সের পাশে প্রচন্ড গতিতে নেমে আসে।

ফুয়েগোর নির্গত ছাই কলাম সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার মিটার ওপরে পৌঁছেছে।

কনরেড জানায়, রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে উত্তর-পূর্বে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ছাই ছড়িয়ে পড়েছে।

‘উচ্চ স্তরের’ অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত থাকায় অরো শক্তিশালী নির্গমন হতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ও ভূমি ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে কেন্দ্রটি সতর্ক করেছে।

কনরেড কর্মকর্তা রডলফো গার্সিয়া অনুমান করেছেন, এক লাখ ৩০হাজার লোক ছাইয়ের সংস্পর্শে থাকা অঞ্চলগুলির মধ্যে বাস করে। আগ্নেয়গিরি থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই ছড়িয়ে পরেছে।

তিনি বলেন, কাছাকাছি চারটি শহরে ৭ হাজার ৬০০ জনকে আশ্রয় দিতে সক্ষম ১৩টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রধান পর্যটন আকর্ষণ এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসহ ঔপনিবেশিক অ্যান্টিগুয়ার বেশ কয়েকটি নগরীর সঙ্গে সংযোগকারী আগ্নেয়গিরির ঢালের আরএন-১৪ রুটটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ছাইয়ের মেঘের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের কর্তৃপক্ষের যেকোনো সতর্কতার নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে এবং স্থানীয় ও পর্যটকদের আগ্নেয়গিরির চারপাশে সাত কিলোমিটারের সীমাবদ্ধ এলাকা এড়াতে অনুরোধ করেছে।

গত ডিসেম্বরে, একই আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের লাভা ও ছাইয়ের নি:সরণের কারণে গুয়াতেমালা কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দরটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

৩ হাজার ৭৬৩ মিটার লম্বা আগ্নেয়গিরিটি গড়ে প্রতি চার থেকে পাঁচ বছর পর অগ্নুুৎপাত ঘটায়।

২০১৮ সালে একটি অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভার নদীগুলি সান মিগুয়েল লস লোটেস গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেলে গ্রামটিকে ধ্বংস করে। এতে ২১৫ জনকে হত্যা করে এবং অনুরূপ সংখ্যক নিখোঁজ হয়।

গুয়াতেমালার পশ্চিমে সান্তিয়াগুইটো এবং দক্ষিণে প্যাকায় নামে আরও দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

খবর এএফপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর