ইউএনও‘র কাছে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার

আপডেট: July 18, 2023 |
print news

সোহরাব হোসেন, সিংগাইর প্রতিনিধি : স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায়  অভিযুক্তর অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে ধর্ণা দিয়েও পায়নি কোনো সমাধান।

অবশেষে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার  ইউএনও‘র দফতরে দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ। অভিযোগ দেয়ার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মিলেনি প্রতিকার।

গত ১৩ জুলাই মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর গ্রামের স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী স্থানীয় শান্তিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

অভিযোগে প্রকাশ.উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর গ্রামের সিদ্দিক খানের ছেলে আসলাম (২১) স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ।

সেই সাথে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় উত্যক্ত করে। তার প্রস্তাবে রাজী না হলে আসলাম তাকে অপহরণ ও এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। আসলামের ভয়ে বর্তমানে স্কুল ছাত্রীর পরিবারটি আতংকে ভুগছেন ।

সোমবার (১৭জুলাই) বিকেলে সরেজমিন এ ঘটনার সত্যতা মিলে। স্থানীয়রা জানান, আসলাম একজন নেশাখোর বখাটে ছেলে। স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করে।

ভূক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে জানান, স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হলে অটোরিকসায় রিফায়েতপুর ব্রীজ পাড় হওয়া মাত্র গাড়ীর সামনে এসে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলে যাওয়ার পথে আসলাম প্রায়ই আমাকে হুমকি দেয় ।

স্কুল ছাত্রীর মা জানান, প্রথমে আসলামের পরিবারকে ঘটনাটি জানালে তারা উল্টো আমাকে গালিগালাজ করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিনকে বলি ।

তিনি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান দেয়ার কথা বলে তালবাহানা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দেন।

অভিযুক্ত আসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।

স্থানীয় চান্দহর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার কলিম উদ্দিন সিকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিচারের দিন ধার্য করা হলেও চেয়ারম্যান এলাকায় না থাকায় সমাধান দেয়া সম্ভব হয়নি।

চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম ফিরেছি, দু’ পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বসব ।

এ ব্যাপারে সিংগাইর ইউএনও‘র কার্যালয়ে গেলে তার অধীনস্থরা জানান, তিনি ভারতে ট্রেনিংয়ে আছেন। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর