ঝালকাঠিতে হাসপাতালে মশারী ছাড়া ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

আপডেট: September 17, 2023 |

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে আল্টাসোনগ্রাম ও ডেঙ্গু পরিক্ষা করানো বন্ধ থাকায় অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে ডেঙ্গু টেষ্ট করে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী তবে টাঙানো হচ্ছে না মশারী ঝুঁকিতে রয়েছে রোগীদের সাথে থাকা স্বজনরা।

শনিবার রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ভর্তিরত সকল রোগী মশারী ছাড়া বেডে সুয়ে আছে। মশারী বেডের পাশে থাকলেও টাঙানো নেই। এতে ঝুঁকিতে থাকতে হয় রোগীদের সাথে আশা ও থাকা আত্মীয় স্বজনদের।

কৃষ্ণকাঠি এলাকা থেকে আশা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী ইমরান বলেন, এখানে ডাক্তার দেখালে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়।

হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সাউথ ভেঙ্গল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ৩০০টাকা দিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারকে দেখালে ডেঙ্গু পজেটিভ আসে হাসপাতালে ভর্তি দেন।

শেখের হাট থেকে আশা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী মেহেদীর বড় ভাই বাপ্পি বলেন, এখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ থাকায় বাহিরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এনএস ওয়ান, আইসিসি আইজিয়াম পরীক্ষা ৭০০ টাকায় করাই। হাসপাতালে পরীক্ষা করালে আমাদের খরচ কম হতো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাক্তার না থাকায় ও রোগীর চাপ বেশি থাকায় ১০দিনের মতো আল্টাসোনগ্রাম করানো সম্ভব হচ্ছে না এবং ডেঙ্গু পরীক্ষা কিট না থাকায় ১ সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে আল্টাসোনগ্রাম ২০০টাকা এবং ডেঙ্গু পরীক্ষা ৫০ টাকা করে নেওয়া হতো।

এছারা নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ যুগেরও বেশি বন্ধ রয়েছে অপারেশন। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইসিজি।

ঝালকাঠি মেডিকেল অফিসার আরএম ও ডাক্তার মো. মেহেদী হাসান ছানি বলেন, কিট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ।

রোগীর চাপ বেশি থাকায় এবং ডাক্তার কম থাকায় আল্টাসোনগ্রাম পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। রোগীদের সচেতনতার জন্য বার বার মশারী টাঙানোর জন্য বলা হলেও মানছে না তারা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর