দুই বার আমি নৌকা চাই নাই, এবার চাইব: নিক্সন চৌধুরী


তারেকুজ্জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর-৪ স্বতন্ত্র এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের রাজারচর ওয়াজিবুল্লাহ্ হাওলাদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের এক উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বানিয়েছেন। গত দুই বার আমি নৌকা চাই নাই। আগামী নির্বাচনে আমি তার কাছে নৌকার মনোনয়ন চাইব। নৌকা না পেলেও আমার নির্বাচনি এলাকার তিন থানার জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও নির্বাচন করব।
এর আগে টানা দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ফরিদপুরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। দুবারই তিনি পরাজিত করেন নৌকার মার্কার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে।
সভায় নিক্সন চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর নির্বাচনি এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি, তাতে আগামী নির্বাচনেও জনগণ আমাকে ভোট দিবে।
নির্বাচিত হওয়ার আগে কথা দিয়েছিলাম বিদ্যুৎ পাবেন আজকে সেই বিদ্যুৎতের মধ্যে বক্তব্য দিচ্ছি। আমি তিন থানায় উন্নয়ন করেছি।
উন্নয়নমূলক কাজগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসা এবং সুখে দুখে আপনাদের পাশে দাড়ানোই আমার কাজ।
তিনি তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী জাফরউল্লাহর সমালোচনা করে বলেন, আপনি আওয়ামিলীগের ছয় বারের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, আপনি ব্যাংকের মালিক অনেক বড় নেতা অনেক ক্ষমতা, এই ক্ষমতা দিয়ে জনগণের জন্য কি করেছেন? আপনার ক্ষমতা আপনি সৎ ভাবে ব্যাবহার করেন না। মানুষের সাথে খারাপ ব্যাবহার করছেন।
এলাকার কোনো উন্নয়ন করেন নাই। করোনার সময় ঘর থেকে বের হন নাই, একটা মানুষকে সাহায্য করেন নাই। যে মানুষের সাথে হাত মিলিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে তাকে জনগণ কখনো আর এমপি বানাবে না।
তিনি আরো বলেন, আমার মুরুব্বী সাহেব ইদানীং বক্তব্য দেন আমি তার সেই বক্তব্য শুনে তার দোষ দেই না, আপনাদের ও দোষ দেই না, দোষ পাবনার পালগা গারদের দারোয়ানের, সে ঘুমায় ছিলো আর এই পাগলা কাজী বের হয়ে আসছে।
ওনি মঞ্চে কি বলে না বলে যার কোন সত্যতা নাই। দুইবার পরাজিত হবার পর মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, গত সাড়ে ৯ বছর তিনি পরিবার-পরিজন ছেড়ে এলাকাবাসীর জন্য কাজ করেছেন। এলাকায় শত ভাগ উন্নয়ন করতে না পারলেও ৭০ ভাগ কাজ করেছেন।
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার, জেলা পরিষদের সদস্য কোহিনুর বেগম, ফরিদপুর জেলা আওয়ামিলীগের সদস্য এ্যাড. সায়েদীদ গামাল লিপু সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।