বর্তমান সরকার এ অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চায় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: December 27, 2023 |

বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান সরকার এ অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চায় না। সম্পদ থাকা সত্ত্বেও যেখানে আমরা প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে পাই, সেখানে সমস্যা রয়ে গেছে। ইউরোপ প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হতে পারে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করেছে, এবং অন্যান্য দেশ তা স্বীকার করেছে। ‘এটা আমাদের জন্য ভালো।’

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব দেশ এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাইরের চাপ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা কখনো কোনো চাপ অনুভব করেননি। তবে তারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে চান।

ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, তারা বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার। এসব দেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক বহুমুখী।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে শুরু করে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সমর্থন করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ভারতের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছি; বর্তমানে দুই দেশ (বাংলাদেশ ও ভারত) এ সম্পর্কের একটি সোনালি অধ্যায়ে রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) আমাদের একটি বড় বাজার।’

বিএনপি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘ তারা গণতান্ত্রিক দল নয়, সন্ত্রাসীদের দল। সন্ত্রাসীদের কেউ পছন্দ করে না। তাদের পরিপক্কতার অভাব রয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চান এবং গণতন্ত্রের ধ্বংস চান না। ‘আমরা সন্ত্রাস চাই না। এটাই পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্য। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’ তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়, যা আমরা করে দেখাতে পারি।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে আসা উচিত এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত। ‘আমি খুব খুশি হব যদি সত্যিকার অর্থেই যারা নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটাবে- তাঁদের বিরুদ্ধে যদি ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়। তবে এটা তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) ব্যাপার।’

এবার নির্বাচন কমিশন খুবই শক্তিশালী, তাই (নিষেধাজ্ঞা নিয়ে) আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে সবাইকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর