টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হলেন টিউলিপ

আপডেট: July 5, 2024 |
inbound7769007132911607410
print news

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার ধারে-কাছেও পৌঁছাতে পারেননি। প্রায় পনের হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবার মনোনয়ন পেয়েছেন- এমন চারজনের একজন হলেন টিউলিপ সিদ্দিক।

বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য সম্মান। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আর যারা আমাকে ভোট দেয়নি আমি তাদেরও এমপি। তাদের জন্যও আমি কঠোর পরিশ্রম করব।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে নির্বাচন করা টিউলিপ সিদ্দিক ২৩,৪৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮,৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৬,৬৩০। এ ছাড়া রিফর্ম ইউকে থেকে ক্যাথরিন বেকার ২,৯৪০ ভোট পেয়েছেন। বাকি রিজয়েন ইইউ থেকে ক্রিস্টি এলান-কেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে স্কট এমেরি, জোনাথন লুই লিভিংস্টোন (স্বতন্ত্র) উল্লেখযোগ্য ভোট অর্জন করতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ছিল বৈচিত্র্যময়। শৈশবে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে থেকেছেন। পরে কিশোর বয়সে লন্ডনে স্থিত হন এবং সেখানেই পড়াশোনা করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান টিউলিপ প্রাথমিক জীবনেই বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে যুক্ত হন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তার নেতৃত্বগুণ দলকে মুগ্ধ করে। অল্প সময়ে তিনি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের প্রভাবশালী নেত্রীতে পরিণত হন। এম‌পি নির্বা‌চিত হওয়ার আগে তিনি ক্যাম‌ডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ‌তি‌নিই ছিলেন ক্যাম‌ডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলা‌দেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে তিনি শক্তিশালী সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ছায়া মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর