কেন্দুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় অটোরিকশা চালক মারাত্মক জখম 

আপডেট: July 9, 2024 |
inbound3823419380290642183
print news

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের  লোকজনের নির্মম বর্বরতা মারপিটে খোকন (৫০) নামে এক অটোরিকশা চালক  মারাত্মক জখম হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১০ টার  দিকে উপজেলার গন্ডা  ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামে সোনালী ভূঁইয়ার ফাঁকা জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় মারাত্মক  জখমী খোকনের স্ত্রী নাজমুন্নাহার বাদী হয়ে শুক্রবার (২৮ জুন) গাড়াদিয়ার গ্রামের হাদিস (৩৫), সুন্দর আলী (৫০),রুবেল মিয়া (৩০) আতাবুর(৩০) ও সবিকুল (৪০)কে আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে  কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রতিপক্ষের লোকজন খোকনকে  পিলারের সাথে  হাত পা বেঁধে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে।  এক পর্যায়ে  হাত- পা বাঁধা অবস্থায় খোকন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন  তাকে মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে মৃত্যুর কথা শুনে  স্হানীয় লোকজন খোকনকে অজ্ঞান অবস্হায় কেন্দুয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

পরে  খোকনের শারীরিক অবস্থা অবনতির ফলে  চিকিৎসকের পরামর্শে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার বরাতে জানা গেছে,গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামের খোকনের সাথে বিবাদীদের  দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

বিরোধের জেরে ২৫ জুন রাত ১০টার দিকে বিবাদীরা খোকনকে বাড়ি থেকে ডেকে  ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে  তাকে পিলারের সাথে  হাত পা বেঁধে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি প্রচন্ড মারপিট করে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে খোকন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

তখন তারা তাকে মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় ।  মৃত্যুর কথা শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে স্হানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী আহত খোকনের স্ত্রী নাজমুন্নাহার জানান, আসামীরা একই গ্রামের। তারা জুয়ারি ও দাঙ্গা প্রকৃতির লোক। তারা আমার স্বামীর কাছে টাকা চেয়েছিল।

টাকা না দেওয়াতে আসামীরা  মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে যায়। ফাঁকা জায়গায় নিয়ে তারা আমার স্বামীকে হাত পা বেঁধে নির্মমভাবে রড দিয়ে মেরে সাড়া শরীর পঙ্গু করে দিয়েছে।

আমার স্বামী কথা বলতে পারছে না। তার শারীরিক অবস্থা  ভাল না। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুকুনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,খোকনকে নির্মম ভাবে মারপিট করেছে।  মামলায় তিন আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। অন্য দুইজন আসামি পলাতক রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর