সহিংসতার ঘটনায় চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩০

আপডেট: November 27, 2024 |
inbound247735815825897967
print news

চট্টগ্রামে সাবেক ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী তাদের আটক করে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের যাচাইবাছাই চলছে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনায় দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি, অন্যটি আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায়। আটক ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাই শেষে তাঁদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।

বেলা সোয়া ১২ টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভের পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। বিক্ষোকারীদের ছোড়া ঢিলে আদালত মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার কাঁচ ভেঙে যায়, যেখানে আইনজীবীদের চেম্বার রয়েছে।

এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে ‘হত্যার’ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, আদালত থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়কে আইনজীবী সাইফুলের ওপর হামলা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ওই আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আরও ২০ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর