তিন ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট: March 13, 2025 |
inbound6310169044183026548
print news

বেসরকারি খাতের আরও তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো– এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের অনেকেই পলাতক। সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উল্লেখ, সরকার পরিবর্তনের পর এস আলম নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী ব্যাংকসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় বারের মতো একশনে গিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পরই ব্যাংকিং খাতে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আর্থিক খাতকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন। এর মধ্যে বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের হাত থেকে রাহুমুক্ত করেন ইসলামী, এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটিসহ আরো কয়েকটি ব্যাংক।

এ ছাড়া আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার রোধ, মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ আরো কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গত সাত মাসে।

সাহসী পদক্ষেপে আস্থায় ব্যাংক খাতএরই মধ্যে দেশের মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে খুব শিগগির আরো ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদী গভর্নর।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। গত দুই বছরে এই সংকট আরো গভীর হয়েছে।

একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট আর বিদেশে অর্থপাচার, লাগামহীন খেলাপি ঋণ, ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট, ডলার ও রিজার্ভ সংকটে ব্যাংক খাতের ক্ষত আরো গভীর হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটিও পালন করেননি ওই সময়ের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বরং দফায় দফায় তার ভুল নীতির খেসারত দিতে হয়েছে ব্যাংক খাতকে। এতে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থাহীনতা বাড়ে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর