নববর্ষ বাঙালির শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য

আপডেট: April 15, 2025 |
inbound7215054128225797921
print news

ডিআইইউ প্রতিবেদক: পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব। এটি বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১লা বৈশাখ। সাধারণত প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা এই দিনটি পালন করি।

আজকের এই বাংলা নববর্ষে শিক্ষার্থীরা জানান তাদের মতামত যেখানে উঠে আসে বাংলার ঐতিহ্য ও ইতিহাস।

পুরনো যত হতাশা, দুঃখ-কষ্ট, যন্ত্রনা-বেদনা সব ভুলে, সুখে ও আনন্দে কাটুক আজকের এই পহেলা বৈশাখ।

পহেলা বৈশাখের এই দিনে পান্তা ভাত আর কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ হল বাঙালির প্রিয় খাবার।

পান্তা ইলিশ আর কাঁচামরিচ পেঁয়াজ বাঙালির প্রাণ, নতুন বছরের সবাই গাইবো বৈশাখীর গান এসো হে বৈশাখ এসো।

পুরনো দিনগুলো যেমনই হোক আজ এই পহেলা বৈশাখে সব স্মৃতি ভুলে সবাইকে জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব। এটি বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১লা বৈশাখ। সাধারণত প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা এই দিনটি পালন করি।

এই দিনটিকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে এই দিনটি উদযাপন করি এবং নতুন বছরকে বরন করে নেই

এই দিনটিতে গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে নানা ধরনের মেলা বসে, যেখানে হস্তশিল্প, পিঠা-পুলি, খেলনা, পান্তা-ইলিশের আয়োজন থাকে চোখে লাগার মতো

পহেলা বৈশাখের আরো একটি অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা যেটি প্রত্যেকটি বাঙালি তার হৃদয় ধারণ করে,
এবং বাংলা সাজে এই দিনে নতুন একটি রঙে ছেলেদের পড়নে দেখা যায় সাদা পাঞ্জাবি এবং মেয়েদেরকে দেখা যায় লাল বর্ণের সারিতে পহেলা বৈশাখ যেন প্রত্যেকটি বাঙালি একটি আবেগের জায়গা একটি ভালবাসার জায়গা।

তাইতো আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়

বছর শেষে ঝরা পাতা
বলল উড়ে এসে
একটি বছর পেরিয়ে গেল
হাওয়ার সাথে ভেসে
নতুন বছর আসছে
তাকে যত্ন করে রেখো
স্বপ্নগুলো সত্য করে
খুব ভালো থেকো

শুভ নববর্ষ (১৪৩২)
মো: ফাহিম মাহমুদ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বাংলা নববর্ষের সূচনা হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবর এর শাসনামলে। মূলত কর আদায়ের সুবিধার্থে তিনি প্রচলন করেন দেশীয় বর্ষপঞ্জির , যা গণনা শুরু হয় ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। ধীরে ধীরে এই বাংলা সন শুধু হিসাবের পদ্ধতিই নয়, বরং হয়ে ওঠে আমাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ।এদিন গ্রামীনমেলা, পান্তা-ইলিশ, আলপনা, আর “এসো হে বৈশাখ” এর জোয়ারে ভেসে যায় হাজারো প্রাণ।

জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে এক হয়ে উদ্‌যাপন করে বাঙালিত্বের মিলনমেলা, যা আমাদের পারস্পরিক  সহনশীলতা, সৌন্দর্যবোধ ও সম্মানবোধেরই বহিপ্রকাশ।

আজকের দিন শুধু উৎসবের নয়,আমাদের মানবিক, সংস্কৃতিমনা ও প্রযুক্তিনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞার এবং  আত্মসমালোচনার দিনও বটে ।

নিজেদেরকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া উচিত জাতি হিসাবে আমরা কতটুকু এগিয়েছি? বা  কতটুকু পিছিয়ে আছি?

আমরা ইতিহাসে দেখেছি  নববর্ষ যেমন আমাদের সংস্কৃতির আলোয় উদ্ভাসিত করে,তেমনি যখন অন্যায় ও স্বৈরশাসন ঘনিয়ে আসে,তখন এই চেতনাই আন্দোলনের অগ্নিশিখায় রূপ নেয়।

যা ২৪ এর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আমরা আবার প্রত্যক্ষ করেছি যে এই জাতি কখনো মাথা নত করে না।

ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন, রাজনৈতিক দমনপীড়ন, শিক্ষাঙ্গনে হস্তক্ষেপ আর গণতন্ত্র রহিতকারি মহলদেরকে স্ব মূলে উৎপাটন করেতেও সক্ষম এ জাতি।

এই আন্দোলন বাংলা নববর্ষের প্রকৃত চেতনারই বহিঃপ্রকাশ এটি হচ্ছে সেই আত্মজাগরণের শিখা, যা নববর্ষের সূর্যের মতোই জেগে ওঠে, অন্ধকারকে সরিয়ে দেয়, এবং সত্যের পথ উন্মুক্ত করে।

নতুন বছরের প্রথম সূর্য উঠুক আমাদের মাঝে আলো ও আশার বার্তা নিয়ে। শুভ নববর্ষ।

মোঃ রাব্বি হাসান
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর