দুটি সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল


ফাহিম আহমদ, সিলেট জেলা প্রতিনিধি: সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে হারটা হয়তো ভালোভাবে ধাক্কা দিতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় দলকে।
কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় সিরিজকে সামনে রেখে এখনও তেমন তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে।
পরিস্থিতি এমন যে অনুশীলনে ক্রিকেটারদের চেয়ে আগ্রহ বেশি কোচদের, সংখ্যায়ও বেশি থাকছেন তারাই।
পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজকে সামনে রেখে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা।
এদিন মাঠে অনুশীলন করতে দেখা গেছে ২ ক্রিকেটারকে আর তাদের নির্দেশনা দেয়ার জন্য কোচ উপস্থিত ছিলেন ৪ জন।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের ভেতরেই নেটে অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। একটি নেটে অন সাইডে বড় শট খেলার অনুশীলন করেছেন জাকের আলী।
পাশে দাঁড়িয়ে তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্টও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন জাকেরের ব্যাটিং।
আরেকটি নেটে ব্যাটিং ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। অফ সাইডের বল পয়েন্ট এবং গালি দিয়ে কীভাবে সীমানাছাড়া করা যায়, সেই অনুশীলনই করতে দেখা যায় তরুণ এই ক্রিকেটারকে।
হৃদয়ের ব্যাটিং পর্যবেক্ষণ করছিলেন হেড কোচ ফিল সিমন্স। এসময় তাকে কয়েকটি পরামর্শও দিতে দেখা যায় তাকে।
সিমন্সের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম। হয়তো হৃদয়ের ব্যাটিং নিয়েই আলোচনা করছিলেন হেড কোচের সঙ্গে।
অনুশীলনে দেখা না গেলেও এদিন মাঠে এসেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। অনুশীলন শুরুর আগেই জিমে ঘাম ঝরাতে চলে যান এই পেসার।
পরে তিনি অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন কিনা জানা যায়নি। কারণ অনুশীলন দেখার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সময় দেয়া হয়েছিল কেবল ১৫ মিনিট।
পাকিস্তান এবং আরব আমিরাত সিরিজকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিসিবির ক্যাম্প। প্রথম দিনের অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন ৫ জন।
দ্বিতীয় দিন সংখ্যা আরও কমেছে। তবে অনেক ক্রিকেটার বাইরে থাকায় পুরো দলকে নিয়ে এখনই অনুশীলন করা সম্ভব নয় টিম ম্যানেজমেন্টের।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করে আসা টেস্ট দলের অনেক ক্রিকেটার এখনও বিশ্রামে আছেন। সিলেটে চলমান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ‘এ’ দলের সিরিজে আছেন পাকিস্তান সিরিজের দলে থাকা ৪ জন।
এছাড়া রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানা পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
এবারের ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের ক্লোজডোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।
গণমাধ্যমকর্মীদের অনুশীলন দেখার সময় দেয়া হচ্ছে ১৫-২০ মিনিট করে। হুট করে বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।