কুমারখালীতে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, চিকিৎসক গ্রেফতার

আপডেট: May 17, 2025 |
inbound3841043551034792015
print news

আসাদুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কলার ভেতরে চেতনানাশক খাইয়ে সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে এক পল্লী চিকিৎসককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়
গ্রেফতার হওয়া পল্লী চিকিৎসক বারেক শাহ (৫০) উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের বাদল শাহের ছেলে।

তিনি নিজবাড়ি থেকেই পল্লী চিকিৎসার কার্যক্রম করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী মাস দুয়েক হলো পল্লী চিকিৎসক বারেক শাহের বাড়িতে গৃহ পরিচালিকার কাজ করছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। সে সময় চিকিৎসক কলার ভেতরে চেতনানাশক প্রয়োগ করে খেতে দেন এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

সেসময় স্থানীয় এক মহিলা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এরপর শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের লোকজন সঙ্গে-সঙ্গে থানায় নিয়ে আসে এবং চিকিৎসার জন্য কুমারখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলায় আসামিকে গ্রেফতার করে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, চেতনানাশক খাইয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

আসামিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর