রাইড শেয়ারিংয়ের নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, আদালতে স্বীকারোক্তি চালকের


রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে ওঠা এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চালক শাহপরানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১ জুন) তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
শনিবার (৩১ মে) দিবাগত রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে শাহপরানকে গ্রেপ্তার করে পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া শাহপরান (৩০) কেরাণীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী দক্ষিণ পাড়া এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৮ মে বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর থেকে শ্যামলীতে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন ওই নারী।
রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেলে যাত্রা শুরুর পর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে চালক তাকে ঘোড়াশাল পৌরসভার পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি নির্জন কালভার্টের কাছে নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পর চালক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় এবং তার স্বজনদের কাছ থেকেও বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে। এমনকি তাকে হত্যার হুমকিও দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে ভর্তি করে।
২৯ মে ওই নারী বাদী হয়ে পলাশ থানায় ধর্ষক শাহপরানকে প্রধান আসামি করে এবং তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের একাধিক ইউনিট সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। অবশেষে কেরাণীগঞ্জ থেকে পালিয়ে থাকা অবস্থায় শাহপরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার আদালতে হাজির করলে তিনি ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।