ইত্তেহাদুল কুররা’র কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ 

আপডেট: June 24, 2025 |
inbound5785432038502395886
print news

ফাহিম আহমদ, সিলেট জেলা প্রতিনিধি:  ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি ক্বারী আলী হায়দার বলেছেন, কুরআনই দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তির গ্যারান্টি।

রাসুলের (সা.) মাধ্যমে আমরা আল্লাহ প্রদত্ত এই কিতাব পেয়েছি। কুরআনের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশ।

আমরা বিশ্বাস করি যে, সহীহ তিলাওয়াত শিক্ষার মাধ্যমে একটি কুরআনী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আমরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবো।

দুনিয়াতে অশান্তির অন্যতম প্রধান কারণ হলো, অনুসারীরা এই কালাম থেকে দূরে সরে গিয়েছে।

অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ দূর করতে হলে সবাইকে ফিরে আসতে হবে কুরআনের দিকে। তাহলে মানুষ মুক্তি ও স্বস্তি পাবে।

তিনি মঙ্গলবার সকালে ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশ আয়োজিত, প্রধান কেন্দ্র : শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলা, সিলেট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত রাবে, খামিস ও সনদ জামাতের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

ক্বারী মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ারের পরিচালনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সেক্রেটারি জেনারেল ক্বারী মাওলানা আ স ম আলা উদ্দীন।

উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ক্বারী মাওলানা শওকত আলী, ক্বারী মাওলানা আব্দুল লতিফ, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ক্বারী এ এইচ এম আব্দুল বাসিত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্বারী আব্দুল হাকীম প্রমুখ।

সমাপনী বক্তব্যে মুফতি ক্বারী আলী হায়দার বলেন, ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা সিলেট বিভাগ সহ দেশের সর্বত্র সহীহ কুরআন প্রশিক্ষণের সৌন্দর্য পৌঁছে দিতে চাই।

ক্বারী মাওলানা আ স ম আলা উদ্দীন বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা ফলাফল প্রকাশ করলাম। আল্লাহ তা’য়ালা! আমাদের এই চেষ্টা ও পরিশ্রম কবুল করে নিন।

অন্যান্য বক্তারা সবার দোয়া, পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশ কুরআনের খেদমত করে যাচ্ছে। সহীহ তিলাওয়াত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা জোরদার রেখেছে।

প্রতি বছর কমবেশি অর্ধ লক্ষ শিক্ষার্থী শাখা কেন্দ্রগুলোতে সহীহ তিলাওয়াত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, সার্টিফিকেট অর্জন করে থেমে গেলে চলবে না। কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় থাকতে হবে। শিক্ষক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর