পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আপডেট: July 12, 2025 |
inbound4151317776670084933
print news

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জালিয়াতি, প্রতারণা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা দায়েরের কয়েক মাস পর তাকে ছুটিতে পাঠানো হলো।

হেলথ পলিসি ওয়াচের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ডাব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক ড: টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস একটি সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ ইমেলের মাধ্যমে কর্মীদের জানান যে পুতুল অবিলম্বে ছুটিতে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ডব্লিউএইচও-এর সহকারী মহাপরিচালক ড: ক্যাথারিনা বোহেম সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তিনি নয়াদিল্লির আঞ্চলিক কার্যালয়ে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা পুতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তার বিতর্কিত নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে। পুতুল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সংস্থাটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, কিন্তু শেখ হাসিনা তার প্রার্থিতা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ খাটিয়ে অযাচিত প্রভাব বিস্তার করেন।

দুদক জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করে এবং মার্চ মাসে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে।

দুদকের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলামের মতে, পুতুল মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারা লঙ্ঘন করে; এই দুটি ধারা জালিয়াতি এবং জাল নথি ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

পুতুলের বিরুদ্ধে তার পেশাগত সম্পৃক্ততা সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক পদের দাবি করা, যা বিশ্ববিদ্যালয়টি অস্বীকার করেছে।

পুতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্মানসূচক পদটি মূলত শীর্ষ পদের জন্য তার যোগ্যতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

দুদকের অভিযোগ, পুতুল তার ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছেন, যা তিনি শুচনা ফাউন্ডেশন রেখেছিলেন। এই তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

এ ছাড়া পুতুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব অভিযোগ দায়েরের পর থেকে পুতুল স্বাধীনভাবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারছেন না, কারণ বাংলাদেশে ফিরে গেলে তাকে গ্রেফতারের ঝুঁকি রয়েছে।

এসব অভিযোগ বা সংস্থায় পুতুলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ডাব্লিউএইচও কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর