সংসদের উচ্চকক্ষে সম্মতি বিএনপির, ‘পিআর’ পদ্ধতিকে না


দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ আসনের বিষয়ে বিএনপি সম্মত হলেও, উচ্চকক্ষে সদস্য নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন-পিআর) পদ্ধতিতে রাজি নয় দলটি। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসন নির্বাচন যেভাবে হয়, সেই আসনভিত্তিক পদ্ধতিতেই উচ্চকক্ষে নির্বাচনের পক্ষে আমরা মত দিয়েছি।”
বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে আগেই উচ্চকক্ষ গঠনের কথা ছিল উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন জানান, এই কক্ষটি যেন সমাজের অভিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান নাগরিকদের রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত করার মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে—এটাই বিএনপির উদ্দেশ্য।
তবে তিনি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক প্রেক্ষাপটে। বলেন, “এটা যেন একটি ব্যয়বহুল নিম্নকক্ষের প্রতিলিপি না হয়ে যায়, তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার।”
সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “সংবিধানের ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ ধারা সংশোধনের আগে গণভোট বাধ্যতামূলক করার বিধান যুক্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মতো বিষয়ে ভবিষ্যতে যেন কেউ ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করতে না পারে, সেজন্য গণভোট ছাড়া সংশোধনের সুযোগ রাখা যাবে না—এই প্রস্তাব কমিশন গ্রহণ করেছে।”
মঙ্গলবারের আলোচনায় বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।