সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ‘ভুল করিনি’: সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ

আপডেট: July 29, 2025 |
inbound302727825509350308
print news

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাজেট বৈষম্য ইস্যুতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে নিজেদের মধ্যে বিভাজনে জড়ান সমন্বয়কারীরা।

সেই উত্তপ্ত মুহূর্তে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে কোনো ভুল করিনি বলে দাবি সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগের।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকের উপর এমন আচরণকে অনেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়ে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি ছিল স্মারকলিপি প্রদান।

সময়মতো আমি উপস্থিত হয়ে দেখি, চত্বরে কেউ নেই। মূল ফটকের দিকে এগিয়ে গেলে কয়েকজন সমন্বয়ককে প্রস্তুতি নিতে দেখি।

সেখানে অপেক্ষা করতে থাকি। হঠাৎ দেখি সমন্বয়ক সোহাগ ও জয় নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন।

আমি ভিডিও ধারণ করতেই সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মোবাইল ফেরত পাই।’

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আহমদুল হক আলবি বলেন, ‘নেতাদের দ্বন্দ্বে আন্দোলন কার্যত ভণ্ডুল হয়ে যায়।

আমরা আন্দোলনের জন্য জড়ো হলেও তারা নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আবু সাঈদ, তখনই সোহাগ মোবাইল কেড়ে নেন।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ‘আমি ফোন কেড়ে নিয়ে কোনো ভুল করিনি।

তবে সরি বলেছি, কারণ তখন মাথা গরম ছিল। আবু সাঈদকে বলেছি, ‘বন্ধু, সিচুয়েশনটা বুঝতে পারতেছ?’ ভিডিও বন্ধ করার জন্যই ফোন নিয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, সাংবাদিকরা এর আগেও ফ্যাসিস্ট আক্রমণের শিকার হয়েছে।

আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা যদি আবারো এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়, তাহলে এটা মেনে নেয়ার মতো না।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর