বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী মারা গেছেন


বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
ড. শমশের আলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি, বাংলা একাডেমির ফেলো ও এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) বাদ জোহর ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৪০ সালের ৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জন্ম নেওয়া শমশের আলী শৈশবে ভারতের চব্বিশ পরগনায় ছিলেন, পরে দেশভাগের পর যশোরে ফিরে আসেন। এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
তার কর্মজীবনের শুরু পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৬৫ সালে থিওরেটিক্যাল নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে পিএইচডি করেন। দেশে ফিরে দায়িত্ব পালন করেন আণবিক শক্তি কমিশনের পরিচালক হিসেবে, পরে শিক্ষকতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি ছিলেন। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সাহিত্য ও সুফি দর্শনে ছিল তার গভীর আগ্রহ। রচনা করেছেন ‘পবিত্র কোরআনে বৈজ্ঞানিক ইঙ্গিত’, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলিম অবদান’, ‘আলাদিনস রিয়েল ল্যাম্প’সহ বহু গ্রন্থ।
বিজ্ঞান শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক, জগদীশচন্দ্র বসু স্বর্ণপদকসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।