বিদেশি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ সীমিত করছে যুক্তরাষ্ট্র


যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারী অতিথি এবং বিদেশি গণমাধ্যম কর্মীদের ভিসার মেয়াদ সীমিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বুধবার জারি করা সরকারি নির্দেশনায় এ প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের গ্রহণ করা কঠোর ব্যবস্থার অংশ।
বর্তমানে এফ ভিসা শিক্ষার্থীদের জন্য, জে ভিসা সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের জন্য এবং আই ভিসা সাংবাদিকদের জন্য বৈধ থাকে যতক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি বা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কর্মসংস্থানের মেয়াদ চলবে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভিসা সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত, বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের ভিসা সর্বোচ্চ ৪ বছর, এবং সাংবাদিকদের আই ভিসা সর্বোচ্চ ২৪০ দিন পর্যন্ত (চীনের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৯০ দিন) থাকবে। প্রয়োজন হলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পুনরায় আবেদন করা যাবে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এফ ভিসার আওতায় প্রায় ১৬ লাখ শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ অর্থ বছরে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার অতিথি এবং ১৩ হাজার সাংবাদিককে ভিসা প্রদান করা হয়েছিল।
প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ভিসাধারীদের কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ এবং তাদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করা। এই প্রস্তাবের বিষয়ে জনগণের মতামত জানাতে ৩০ দিনের সময় রাখা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে অনুরূপ প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তখন আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের সংগঠন এনএফএসএ বিপরীতে অবস্থান নেয় এবং তা বাতিলের আহ্বান জানায়।
পরে বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে। জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প প্রশাসন বৈধ অভিবাসনের ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং কার্যক্রমের ভিত্তিতে তাদের শিক্ষার্থী ভিসা ও গ্রিনকার্ড বাতিল করেছে এবং লাখ লাখ অভিবাসীর বৈধ স্থিতি বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
২২ অগাস্ট ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে, তারা নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের এলাকায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পরিদর্শন পুনরায় শুরু করবে।
এর মধ্যে থাকবে আবাসনের অবস্থা, নৈতিক চরিত্র এবং আমেরিকান মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতি যাচাই। ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করছে, এসব পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।